অন্যের সঙ্গে মতের অমিল, মনোমালিন্যতা, কোনো বিষয়ে একমত হতে না পারা স্বাভাববিক ব্যাপার। এই অমিলের পরও মানিয়ে চলা, অপরের মতামত বা কথাকে গুরুত্ব দিতে পারা মানুষকে অন্যের মাঝে অনন্য করে তোলে।
এবং অন্যতম মানবিক গুণাবলীর একটি হলো অপরের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া। অন্যের সঙ্গে মানিয়ে চলা। রাসূল সা.-এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল পরমতসহিষ্ণুতা।
দ্বিতীয় হিজরিতে বদর যুদ্ধে বিজয়ের পর যুদ্ধবন্দিদের বিষয়ে তিনি সাহাবিদের তাদের সঙ্গে উত্তম ব্যবহারের নির্দেশ দেন। ফলে সাহাবিরা নিজেরা খেজুর খেয়ে বন্দিদের রুটি খাওয়ান। (ইবনে হিশাম : ১/৬৪৫)
অনেক সময় অন্যের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। মানুষ অন্যের মত সহ্য করতে না পেরে ধৈর্য্য হারিয়ে একে-অপরের সঙ্গে অসংযত আচরণ করেন। অন্যকে গালাগালি শুরু করেন। ইসলামে এ বিষয়ে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এক হাদিসে আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি [আল্লাহর অবাধ্যাচরণ] এবং তার সঙ্গে লড়াই ঝগড়া করা কুফরি।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৪৪)
অপর হাদিসে আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, ‘কবিরা গুনাহগুলোর একটি হলো নিজের বাবা-মাকে অভিশাপ করা।’ জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! মানুষ নিজের বাবা-মাকে কীভাবে অভিশাপ করে?’ তিনি বললেন, ‘যখন কোন লোক অন্য লোকের বাবাকে গালি দেয়, তখন সেও তার বাবাকেও গালি দেয়, মাকে গালি দেয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৯৭৩)