ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নিহত হয়েছে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায়। সোমবার ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো রাফার তিনটি বাড়িতে আর উত্তরে গাজা সিটির দু'টি বাড়িতে বোমাবর্ষণ করে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা সিটির হামলায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছে আর বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। সোমবার রাতে গাজার মধ্যাঞ্চলে আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে একজন সাংবাদিক আছেন বলে চিকিৎসাকর্মীরা ও হামাসের গণমাধ্যম জানিয়েছে।
সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে রোববার দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, সোমবার তারা ইসরায়েল লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে। এর মাধ্যমে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে গাজায় প্রায় সাত মাস ধরে চলা ইসরায়েলের অবিরাম আকাশ ও স্থল হামলা সত্ত্বেও গোষ্ঠীটির রকেট ছোড়ার সক্ষমতা এখনও বজায় আছে। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে প্রায় অর্ধেক রাফায় আশ্রয় নিয়ে আছে। এই শহরটিকে এক সময় 'নিরাপদ স্থান' বলে ঘোষণা করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী। শহরটিতে আক্রমণ না চালাতে বিশ্ব নেতারা ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
রাফায় হামলার বিষয়ে রয়টার্সের প্রশ্নের উত্তরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র বলেছেন, "গাজার দক্ষিণাঞ্চলের বেসামরিক এলাকা থেকে সন্ত্রাসীরা তৎপরতা চালাচ্ছিল, সন্ত্রাসীদের সেইসব লক্ষ্যস্থলে যুদ্ধবিমানগুলো আঘাত হেনেছে।" এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করতে হামাস নেতারা কায়রো সফর করেছেন। রাফায় হামলার কয়েক ঘণ্টা পর মিশরের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন জানায়, হামাসের প্রতিনিধি দল দোহার উদ্দেশে কায়রো ছেড়েছেন, তারা তাদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে পরে কোনো এক তারিখে লিখিত জবাব দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির সর্বসাম্প্রতিক 'অনন্য উদার' প্রস্তাব দ্রুত মেনে নেওয়ার জন্য হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।