করলার কিছু স্বাস্থ্যকর উপকারিতা


ফারহানা জেরিন , আপডেট করা হয়েছে : 31-03-2022

করলার কিছু স্বাস্থ্যকর উপকারিতা

সবজি খাওয়ার বিষয়ে মানুষের মাঝে মতভেদ থাকলেও, করলা খাওয়ার বিষয়ে প্রায় সকলেই একমত হবেন।

তিতকুটে স্বাদের এই সবজিটি কারোর তেমন একটা পছন্দের নয়। নিতান্ত অনিচ্ছাবশত, মায়ের বকুনিতে, জোর করেই খেতে হয় এই সবজির রান্না।

স্বাদে ভীষণ তিতকুটে হলেও, স্বাস্থ্য উপকারিতায় করলার মাঝে কোন কমতি নেই।

ডায়বেটিস কিংবা শ্বাসকষ্টের মতো গুরুত্বর রোগের ক্ষেত্রে ওষুধের মতো উপকারিতা পাওয়া যায় করলা থেকে।

এতো চমত্‍কার সুস্বাদু সবজির ভিড়ে কেন করলা খেতেই হবে? তিতা করলা এমন কিছু গুণাগুণ এই সবজিটিকে অন্যান্য সকল সবজি থেকে আলাদা করে তুলেছে, যা সচরাচর অন্য সবজিতে পাওয়া সম্ভব নয়। নিজ সুবিধার্থে জেনে রাখুন করলার চমত্‍কার কিছু গুণাগুণ।

ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ করে: ১০০ গ্রাম করলাতে রয়েছে মাত্র ২০ ক্যালোরি। যা এই সবজিটিকে অন্যতম লো ক্যালোরির খাদ্য হিসেবে পরিচিত করেছে। ফলে এই সবজিটি গ্রহণে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই একেবারে।

ডায়বেটিসের জম: করলাতে রয়েছে কেমিক্যাল পলিপেপ্টাইড-পি। বিশেষ ধরণের কেমিক্যালটি উদ্ভিজ ইনস্যুলিন হিসেবে পরিচিত। এই ইনস্যুলিন রক্তে চিনি ও ইনস্যুলিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ করলার রস পানে ডায়বেটিসের সমস্যা খুব দ্রুত কমে যায়।

ফলেট সমৃদ্ধ সবজি: তিতকুটে স্বাদের এই সবজিটিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফলেট। মাত্র ১০০ গ্রাম পরিমাণ করলা থেকে প্রতিদিনের চাহিদার ২০ শতাংশ ফলেট পাওয়া সম্ভব। বিশেষত পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ও গর্ভাবস্থায় প্রতিটি নারীর নিয়মিত করলা খাওয়া প্রয়োজন। এতে করে রক্তস্বল্পতা দেখা দেওয়ার সম্ভবনা একেবারেই কমে যায় এবং রক্তে আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পূর্ণ: আলফা ও বেটা ক্যারোটিন, জ্যানথিনস ও লুটিন সমৃদ্ধ এই সবজিটি শরীরের ফ্রি-রেডিক্যাল ড্যামেজ কমাতে ও ইনফ্ল্যামেশন দূর করতে সাহায্য করে। জানিয়ে রাখা ভালো, ফ্রি-রেডিক্যাল ড্যামেজ ডায়বেটিস, ক্যান্সার, প্রিম্যাচিউর এইজিং এর জন্য দায়ী। সেক্ষেত্রে করলার পুষ্টিগুন শরীর থেকে এই সকল নেতিবাচক প্রভাবকে দূর করে। অন্যদিকে করলার মাত্র ১০০ গ্রাম করলা থেকে শতভাগ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-সি পাওয়া সম্ভব।

পরিপাকে সহায়ক: খাদ্য পরিপাকে সহায়ক হিসেবে তিতকুটে এই সবজিটি দারুণ পরিচিত। কৌষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যার ক্ষেত্রে করলা বেশ দ্রুত কাজ করে।

ঠাণ্ডার সমস্যা কমায়: অনেকেই হয়তো করলার এই গুণের বিষয়ে জানেন না। ডায়বেটিস কমানোর মতোই ঠাণ্ডা-কাশির সমস্যা কমায় করলা। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক করতে, জমে থাকা কফ বের করতে এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে ঠাণ্ডা-জ্বরের জন্যেও করলা উপকারী।

রাজশাহীর সময়/এএইচ


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]