হজ্জ এবং উমরাহ পালনঃ
আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ পালন করল এবং নিজেকে গর্হিত পাপ কাজ ও সকল ধরনের পাপ কথা থেকে বিরত রাখল তাহলে সে হজ থেকে এমন নিষ্পাপ ও নিষ্কলঙ্ক হয়ে ফিরে আসবে যেমন সে তার জন্মের সময় ছিল’’। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৪২৪]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মাবরুর হজের (কবুল হজের) পুরষ্কার বা প্রতিদান জান্নাত ব্যতীত আর কিছুই নয়’’। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৭৭৩/১৬৫০]
ইসলামে এ রুকনটির এত গুরুত্ব সত্ত্বেও আমরা মুসলিমদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তিকে দেখতে পাই যারা এ বিধিবিধানগুলো জানা ও বুঝার ব্যাপারে চেষ্টা করে না, আর চেষ্টা করে না হজের পবিত্র ভূমিতে, মক্কায় ও মদীনায় কোন কোন কাজ করা বৈধ সে ব্যাপারে ব্যাপকভাবে জানতে ও বুঝতে, যাতে হজের কাজসমূহ পালনে শরী‘আ বিরোধী কোনো কাজে লিপ্ত না হয়ে যায়। তাই হজ করতে যাবার আগে হজের শরয়ী বিধিবিধানসমুহ আমাদের জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী কার্য সম্পাদন করতে হবে।
রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর হজ সম্পর্কে জানতে আপলোডকৃত নিম্নের বইগুলি সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের সকলকে সঠিকভাবে দ্বীনকে জানার এবং মানার তৌফিক দান করুন।
আপনার দোয়াপ্রার্থী,
*প্রফেসর ড. মো. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা)*
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।