২০২৩ সালে বিয়ে হয় যুবক-যুবতীর। কিন্তু মাত্র ১৭ দিন পরই শুরু বিপত্তি। বিয়ে টেকানো সম্ভব নয় বলেই সরে যান দু'জনেই। তারপর শুরু হয় বিচ্ছেদের মামলা। কিন্তু হলটা কী? কী এমন সমস্যা যে এত কম দিনেই একে অপরের থেকে সরে গেলেন? মামলা চলাকালীন উঠে এল আসল তথ্য। যুবকের রয়েছে এক অদ্ভুত সমস্যা, যাকে বলা হয় 'রিলেটিভ ইম্পোটেন্সি'।
আর তার জেরেই ভাঙতে চলেছে বিয়ে। সমস্যার কথা শোনার পর বম্বে হাইকোর্ট তাঁদের বিয়ে বাতিলের রায় দিয়েছে। ‘রিলেটিভ ইম্পোটেন্সি’ ঠিক কী, সেটাও নির্দেশনামায় উল্লেখ করেছে আদালত।
‘রিলেটিভ ইম্পোটেন্সি’-র সমস্যা থাকলে যে বিয়েতে হতাশা আসতে পারে, সে কথা উল্লেখ করেছে আদালত। একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর পারিবারিক আদালতে স্ত্রী বিচ্ছেদের আবেদন করেন। তিনি জানান, তাঁর স্বামী যৌনতায় অক্ষম। এরপর তাঁর স্বামী একটি হলফনামা দিয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলেন। পরে ওই যুবক স্বীকার জানান যে তিনি যৌনতায় অক্ষম নন, কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে সমস্যা হচ্ছে। তিনি চান না তাঁকে ‘অক্ষম’ বলে চিহ্নিত করা হোক।
এরপর পারিবারিক আদালত যুবতীর আবেদন খারিজ করে দেয়। দম্পতি পরস্পর বিরোধী কথা বলছে বলে উল্লেখ করে পারিবারিক আদালত। এরপর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। সব পক্ষের কথা শুনে বিয়ে বাতিল করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি বিভা কানকানওয়াড়ি ও বিচারপতি এস জি চাপলাগাঁওকরের বেঞ্চ।
নির্দেশনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রিলেটিভ ইম্পোটেন্সি’ হল একটি বিশেষ ধরনের সমস্যা, যা সাধারণ অক্ষমতা নয়। এর পিছনে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা থাকতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। আসলে ‘রিলেটিভ ইম্পোটেন্সি’ হল এমন একটি সমস্যা, বিশেষ কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে স্বামীর ‘রিলেটিভ ইম্পোটেন্সি’ রয়েছে স্ত্রীর ক্ষেত্রে। সেই কারণেই বিয়ে পূর্ণতা পাচ্ছে না। তাই যুবককে যাতে ‘ইম্পোটেন্ট’ বলে চিহ্নিত না করা হয়, সে দিকেও নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে এমন সমস্যা অনেকের মধ্যেই থাকে বলেও পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে আদালত।