মুখের ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ক্লিনজিং। এতে ত্বকে লেগে থাকা ধুলো-ময়লা, ঘাম, ব্যাকটেরিয়া এবং অতিরিক্ত তেল দূর হয়। আমরা সাধারণত কেনা ফেস ওয়াশ দিয়েই মুখ পরিষ্কার করি। কিন্তু শরীরের অন্যান্য জায়গার ত্বকের তুলনায় মুখের ত্বক একটু বেশিই সেনসিটিভ হয়। তাই বাজার চলতি কেমিক্যালযুক্ত ফেস ওয়াশ ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
তাছাড়া, বারবার কেনা ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলে ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তবে এখন উপায়? আপনি চাইলে বাড়িতেই ফেস ওয়াশ তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
ঘরোয়া ফেস ওয়াশ ব্যবহারে সাধারণত ত্বকে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হয় না। তাহলে জেনে নিন, বাড়িতে কী ভাবে ফেস ওয়াশ তৈরি করবেন ।
দই ও মধু: দুই চা চামচ দই এবং এক চা চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পুরো মুখে লাগান। দুই-তিন মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। যাঁদের ত্বক খুব শুষ্ক, তাঁরা এতে এক চা চামচ অলিভ অয়েলও মেশাতে পারেন। এই ক্লিনজারটি নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে।
দুধ ও মধু: এক চা চামচ মধুর সঙ্গে দুই চা চামচ কাঁচা দুধ মেশান ভালভাবে। মিশ্রণটি পুরো মুখে সমানভাবে লাগিয়ে ২-৩ মিনিট আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। তারপর হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ক্লিনজারটি ত্বক উজ্জ্বল করবে এবং মুখের তেল অপসারণ করবে। বিশেষ করে যাঁদের সেনসিটিভ স্কিন, তাঁদের জন্য এটি চমত্কার হোমমেড ফেসওয়াশ।
টমেটো ক্লিনজার: দুই চা চামচ টমেটোর পাল্পের সঙ্গে এক চা চামচ দুধ এবং এক চা চামচ লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
দই ও স্ট্রবেরি ক্লিনজার: দু'টো ফ্রেশ পাকা স্ট্রেবেরি এবং দুই চা চামচ দই ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। তারপর ৫-৭ মিনিট রেখে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ক্লিনজারটি মুখের অতিরিক্ত তেল এবং সিবাম দূর করবে।
অ্যালোভেরা ও মধু: অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
টমেটো ও শসা: একটা ছোটো টমেটো আর অর্ধেকটা শশার খোসা ছাড়িয়ে বেটে নিন। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে মিনিট দশেক পর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের দাগ-ছোপ দূর হবে। তাছাড়া, শশা ত্বককে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
রাজশাহীর সময়/এএইচ