রাজশাহী মহানগরীর থেকে ছিনতাইয়ের মালামাল-সহ ছিনতাই চক্রের ৩জন মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) চন্দ্রিমা থানা ও বোয়ালিয়া থানার কেদুড় মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: মোঃ মাহিম হোসেন ওরফে আলিফ (২১), মোঃ সজল হোসেনকে (২৮) ও মোঃ রাজন রহমান (২০), সে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার বাজে কাজলা এলাকার মোঃ আনারুল ইসলামের ছেলে। পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারীরা হলো: বিশাল এস এম হাসান মুক্তাদির ওরফে কিউট (২৩), (২২), সাকিল (২০) ও মোঃ জিসান হোসেন (২১)।
সোমবার র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
ব্যাব জানায়, রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, মহানগীর চন্দ্রিমা থানার পদ্মা আবাসিক ভদ্রা হাজির মোড়ে কতিপয় ছিনতাইকারী ছিনতাই করার জন্য অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে র্যাবের একটি দল পৌঁছায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ৪জন ছিনতাইকারী পালানোর সময় মোঃ মাহিম হোসেন ওরফে আলিফ (২১), মোঃ সজল হোসেনকে (২৮) ধাওয়া দিয়ে আটক করা হয়। তবে ২জন ছিনতাইকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তাহারা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যেই সেখানে অবস্থান করছিলো। তবে তাদের সহযোগী ছিনতাইকারী এস এম হাসান মুক্তাদির ওরফে কিউট, মোঃ জিসান হোসেন পালিয়ে যায়। তারা আরও জানায়, মহানগর এলাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্নস্থানে ছিনতাইকৃত মালামাল পলাতক আসামীদের ভাড়াটিয়া বাসা মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন ২৩৪/১ জামালপুর এলাকার জনৈক মোঃ গোলাম মর্তুজার (মোবাঃ ০১৭১৬০০০৫৭৩), বাসায় মজুদ রেখে গোপনে বিμয় করে। তাদের দেওয়া তথ্য ও দেখানো জনৈক মোঃ গোলাম মর্তুজার বাড়িতে ব্যাব সদস্যরা পৌঁছানো মাত্রই আসামী বিশাল, সাকিল, মোঃ রাজন (২০), সহ ২-৩ জন আসামী কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পলাতক আসামী এস এম হাসান মুক্তাদির ওরফে কিউট ও মোঃ জিসান হোসেনের ভাড়াকরা বাড়ির তৃতীয় তলার পূর্ব পাশের ইউনিটের ঘরসহ আশেপাশে তল্লাশি করে ২টি মোবাইল, ২টি, সীমকার্ড, ১টি মানি ব্যাগ, ১টি টিপ চাকু উদ্ধার করে। এ সময় আসামী মোঃ রাজন রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলে, পলাতক আসামীরা পরস্পর যোগ সাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ আশেপাশের এলাকায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র চাকু দ্বারা ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই করে আসছে এবং তাদের ছিনতাই ছাড়া অন্য কোন পেশা নেই।