নোয়াখালীর দুই নাবিকের মুক্তিতে স্বস্তি পরিবারের মাঝে


নোয়াখালী প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 14-04-2024

নোয়াখালীর দুই নাবিকের মুক্তিতে স্বস্তি পরিবারের মাঝে

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিক অতঃপর জিম্মিদশা মুক্তি পেয়েছে। এতে মুক্তি পাওয়া নাবিকদের পরিবারের স্বস্তি আসলেও তারা দেশের আসার আগ পর্যন্ত এখনো উৎকন্ঠা রয়ে গেছে। 

মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিকের মধ্যে নোয়াখালীর দুই নাবিক আনোয়ারুল হক রাজু ও মোহাম্মদ ছালেহ আহমেদের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের মাঝে শংকা কেটে স্বস্তি এসেছে। এখন তারা প্রতীক্ষার প্রহর গুণছেন কখন ফিরে আসবে তাদের সন্তান, ভাই ও স্বামী।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশী বাণিজ্যক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ২৩ জন নাবিকসহ অপহরণ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ২৩ নাবিকের মধ্যে রয়েছেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের নাবিক রাজু (২৭) ও চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদ (৪৩)। 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নাবিক রাজু বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। বাড়িতে নতুন ঘরের কাজও চলছে ঈদের পরে রাজুর বিয়েকে উপলক্ষ করে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত বছর নভেম্বর মাসের শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠে। এরপর প্রথম রমজান থেকে ছেলের জিম্মি দশায় বদলে গেছে পরিবারের সকল চিত্র। ঈদের দুই  দিন পর রাজু’র মুক্তিতে পরিবারে এখন আনন্দ বিরাজ করছে। দীর্ঘ একমাস পরে অক্ষত ও জীবিত অবস্থায় মুক্তি পাওয়া পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তারা প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন রাজু সহ সকল নাবিক দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে দেশে আসবে।       

নাবিক রাজুর বাবা মাস্টার আজিজুল হক দীর্ঘ ৩২ দিন পর ছেলের মুক্তির খবরে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরলাম। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিককে উদ্ধারে প্রদক্ষেপ গ্রহণ করায় তাদেরকে ধন্যবাদ।  

অপরদিকে, স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে চাটখিল উপজেলার নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদের ছোট পরিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। ছালেহ আহমদ গত বছর ঈদ করেছেন কর্মস্থলে। স্ত্রী ও তিন কন্যার আশা ছিল এবার তাদের সঙ্গে ঈদ করবেন। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে এলোমেলো হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবন। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ ছালেহ আহমেদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার স্বামীর মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। ঈদের দুই দিন পরে নাবিক ছালেহ'র মুক্তির খবরে স্বস্তি এসেছে। এখন মেয়েদের নিয়ে স্বামীর ফিরে আসার প্রহন গুণছেন তানিয়া।

ছালেহ আহমদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, সরকারের কার্যকর ভূমিকায় জলদস্যুদের জিম্মি দশা থেকে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের মুক্তিতে আমাদের সকলের পরিবারের মাঝে স্বস্তি এসেছে। শংকা কেটে গিয়ে আনন্দ বিরাজ করছে সবার মাঝে। তবে এখনো নাবিক পরিবারগুলো তাদের স্বজনদের নিয়ে উৎকন্ঠা প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন দ্রুত সময়ের মধ্যে তারা অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবেন আপন নীড়ে।  


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]