আসন্ন গ্রীষ্মে এশিয়ায় মরতে বসেছে কোটি কোটি শিশু


অনলাইন ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 11-04-2024

আসন্ন গ্রীষ্মে এশিয়ায় মরতে বসেছে কোটি কোটি শিশু

পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রায় ২৪ কোটির বেশি সংখ্যক শিশু বিপন্ন। তারা পড়তে পারে তাপ-সংক্রান্ত অসুস্থতার কবলে, এতে এমনকি তাদের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে বলে জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের আবহাওয়া বিষয়ক শাখা এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে।

এখন গ্রীষ্ম এলেই সেটা চিন্তা-উদ্রেককারী হয়ে যায়। কেননা, গ্রীষ্মটা এখন খুবই মর্মান্তিক একটা ঋতু হয়ে দাঁড়াচ্ছে। উষ্ণতা এত উচ্চগ্রামে বাঁধা থাকছে যে, হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। আর্দ্রতার মাত্রা থাকছে চড়া। দিনের বেলাটা প্রায় দুঃসহ হয়ে পড়ছে। আর প্রতি বছরই এর বহরটা বাড়ছে। আবহবিদেরা নিত্যদিন গ্রীষ্মের নতুন নতুন রেকর্ড গড়ার হিসেব রাখছেন আর পরিবেশ বিজ্ঞানীরা সেসব নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে মানুষের সামনে তুলে ধরছেন পরিবেশের ক্রম-ভয়াবহতা।

ঠিক এই প্রেক্ষিতেই এল এই দুঃসংবাদ। রাষ্ট্রসংঘের এই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, শিশুরা যে কোনও সময়েই যে কোনও কিছুতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে বেশি। রাষ্ট্রসংঘের 'চিল্ড্রেনস ফান্ড' জানিয়েছে, বড়দের চেয়ে ছোটদের বিপদই বেশি। বাড়তে থাকা গরম থেকে বড়দের চেয়ে তাদের ঝুঁকিই বেশি। গরমে শুধু যে বেশি নাজেহাল হবে তারা, তা-ই নয়, শারীরিক বিপদের প্রবণতাও তাদের বেশি। তারা নিজেদের বডি টেম্পারেচার বড়দের মতো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। হিট-রিলেটেড ইলনেসে তারাই বেশি ভোগে। এ থেকে তাদের শ্বাসযন্ত্রসংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে, হতে পারে অ্যাজমা সংক্রান্ত সমস্যা, কার্ডিও ভাসকুলার রোগ, হতে পারে হিট স্ট্রোক।

রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, সামগ্রিক ভাবেই ক্লাইমেট চেঞ্জ থেকে বিপদ বেশি শিশুদেরই। তাই বলা হয়েছে, সর্বস্তরে যেন শিশুদের রক্ষা করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কেননা দুই গোলার্ধেই গরমের ঝুঁকি-প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে এবার বিশেষ করে এশিয়াকেই সতর্ক করা হয়েছে। শিশুদের বাবা-মা, বা অভিভাবকদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন বাড়িতে শিশুদের জন্য কুলার অ্যাম্বিয়েন্স তৈরি করেন। যতটা সম্ভব বাড়িতেই যেন তারা থাকতে পারে, সেটা যেন নিশ্চিত করা হয়।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]