কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষের নাম উত্তর ইংল্যান্ডের এক বাসিন্দার বয়স ১১১ বছর। গিনেস বুকে রয়েছে তাঁরই নাম। কিন্তু এবার পেরুর দাবি, তাঁদের দেশে রয়েছেন এক ১২৪ বছরের মানুষ! হুয়ানুকো প্রদেশের মার্সেলিনো আবাডই বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ।
শেষপর্যন্ত বিশ্বরেকর্ড তিনি গড়তে পারেন কিনা সময়ই বলবে। তবে আপাতত আলোচনায় রয়েছেন তিনি। গত ৫ এপ্রিল তিনি নাকি জন্মদিন পালনও করেছেন! এমনই দাবি সেদেশের প্রশাসনের। কিন্তু এমন দীর্ঘায়ু কেমন করে সম্ভব? কোন ‘ম্যাজিকে’ বারোটা দশক ধরে পৃথিবীর জলহাওয়ায় টিকে রয়েছেন ওই বৃদ্ধ? আবাড জানাচ্ছেন, তাঁর দীর্ঘায়ুর রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তাঁর খাদ্যাভ্যাসে। ফলমূল তিনি যেমন খান, তেমনই আয়েশে খান ভেড়ার মাংসও। এরই সঙ্গে তিনি চিবিয়ে খান কোকা পাতা। পেরুর আন্দেন সম্প্রদায়ের মধ্যে এই রীতি রয়েছে। এই সব খাবারই তাঁর শরীরকে চনমনে রেখেছে বলে দাবি। পাশাপাশি মনের ভিতরে অপার শান্তির খোঁজও পেয়েছেন ১৯০০ সালে জন্মগ্রহণ করা মানুষটি। দুটি বিশ্বযুদ্ধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মানুষের বিপুল উন্নতির মতো বহু অধ্যায়ের সাক্ষী থেকেছেন। তবু সেই পুরনো আমলের পৃথিবী থেকে হাল আমলের বিশ্বেও রয়ে গিয়েছেন আবাড। অন্তত তেমনটাই দাবি।
এই পরিস্থিতিতে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে পেরু। এই মুহূর্তে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের নথি অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি উত্তর ইংল্যান্ডের বাসিন্দা ব্রাইটন জন টিনিসউড। বয়স ১১১ বছর। ভেনেজুয়েলার জুয়ান ভিসেনটে পেরেজ মোরা কদিন আগে পর্যন্ত ছিলেন বিশ্বের বয়স্কতম ব্যক্তি। কিন্তু ১১৪ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এবার পেরু থেকে উঠল দাবি। এখন দেখার, সেই আবেদনে সবুজ সংকেত দেয় কিনা গিনেস কর্তৃপক্ষ।