শরিয়তের পরিভাষায় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কৃত যে কোনো দানকেই সদকা বলা হয়। সদকা ফরজ ও নফল হতে পারে। সম্পদশালী মুমিনদের জন্য প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ সদকা করা ফরজ যা জাকাত হিসেবে পরিচিত। যদিও আমাদের দেশে প্রচলিত অর্থে শুধু নফল দানকেই সদকা বলা হয়।
সাদকা ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ আমল। দুনিয়া ও আখেরাতে এর বিনিময় পাওয়া যায়। কোরআনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কল্যাণময় কাজে দান-সাদকা করার সুফল ঘোষণা করে আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلۡ اِنَّ رَبِّیۡ یَبۡسُطُ الرِّزۡقَ لِمَنۡ یَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِهٖ وَ یَقۡدِرُ لَهٗ وَ مَاۤ اَنۡفَقۡتُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ فَهُوَ یُخۡلِفُهٗ وَ هُوَ خَیۡرُ الرّٰزِقِیۡنَ
‘(হে রাসুল! আপনি) বলুন, ‘আমার প্রভু তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা তার জীবিকা বাড়িয়ে দেন অথবা কমিয়ে দেন। তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার বিনিময় দেবেন। আর তিনিই শ্রেষ্ঠ জীবিকাদাতা।’ (সুরা সাবা: ৩৯)
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কৃত ব্যয়ের পূর্ণ প্রতিদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আল্লাহ বলেন,
وَمَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ فَلِاَنۡفُسِکُمۡ وَ مَا تُنۡفِقُوۡنَ اِلَّا ابۡتِغَآءَ وَجۡهِ اللّٰهِ وَ مَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ یُّوَفَّ اِلَیۡکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ
তোমরা যে সম্পদ ব্যয় কর, তা তোমাদের নিজেদের জন্যই। আর তোমরা তো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যয় কর এবং তোমরা কোনো উত্তম ব্যয় করলে তা তোমাদের পরিপূর্ণভাবে দেওয়া হবে। আর তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।’ (সুরা বাকারা: ২৭২)
সদকা আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করতে ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে সহায়ক হয়। জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তির কারণ হয়। হজরত আদি ইবনে হাতেম (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেদের বাঁচাও; যদি তা অর্ধেক খেজুর দান করার মাধ্যমেও হয়। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)