রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ব্যক্তিগত থেকে কর্মজীবন, বরাবরই শিরোনামে থাকেন বলিউডের 'কুইন'। ২০১৪ সালে কঙ্গনা বলেছিলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় আসার পর ভারত সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছিল। আর এবার লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার পর কঙ্গনা বলে বসলেন, “ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাসচন্দ্র বসু।” তাঁর এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে শোরগোল। আসরে নেমে পড়েছেন বিরোধীরা।
রাজনীতিতে নতুন হলেও বরাবরই গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত কঙ্গনা। গত ২৪ মার্চ বিজেপি যে ১১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল, সেই তালিকায় নাম ছিল অভিনেত্রীর। সম্প্রতি কঙ্গনার এক টিভি সাক্ষাৎকারে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে "ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী" বলায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
কঙ্গনার ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । যেখানে সংবাদমাধ্যমের একটি অনুষ্ঠানে কঙ্গনাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, 'দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু । আপনারাই বলুন তিনি কোথায় গেলেন? 'অভিনেত্রীর এমন মন্তব্যের পরই সঞ্চালিকা তাঁকে মনে করিয়ে দেন, নেতাজি ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নন। কিন্তু কঙ্গনা নিজের বিশ্বাসেই অচল। তৎক্ষণাৎ তিনি পালটা বলেন, “উনি নন? কেন? উনি কোথায় গেলেন? কীভাবে উধাও হয়ে গেলেন উনি? জাপান, জার্মান থেকে ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়েছেন উনি।”
কঙ্গনার সংশ্লিষ্ট ভিডিও শেয়ার করে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস, আপ-সহ বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস নেতা বিভি শ্রীনিবাস, আপের রাজ্যসভা সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল কটাক্ষের সুরে বিঁধেছেন বিজেপির প্রার্থীকে। 'কোয়ান্টাম ইতিহাসে স্নাতক' বলে উপহাস করেছেন আপ বিধায়ক বিনয় মিশ্র ।
যদিও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে নতুন হলেও নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা এবং সোশাল মিডিয়ায় উগ্র জাতীয়তাবাদী পোস্ট করার জন্য গত কয়েক বছর ধরে সর্বভারতীয় স্তরে অতি পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর অভিনীত ছবিগুলি নিয়ে ইদানীং যা চর্চা হয় তার চেয়ে ঢের বেশি হয় তাঁর উগ্র পোস্ট নিয়ে। সেই কঙ্গনাকে তাঁর হোমটাউন হিমাচল প্রদেশে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করেছে বিজেপি।