রাজশাহী মহানগরীর মির্জাপুর এলাকায় এক খন্ড জমি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দল্লাহেল কাফীর সন্তান পাপনী কাউছার।
কথিত জমি ব্যবসায়ী, জামায়াত নেতা নজরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা ভয়ভীতিপ্রদর্শন-সহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও রাস্তার জমি দখলের লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের জমির সংযোগ রাস্তায় টিন দিয়ে রান্নাঘর তুলে জমিতে প্রবেশের রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী, প্রতিবেশীরা জানায়, যে কোন কৌশল অবলম্বন করে হলেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের জমিটি দখলে নিতে চায় আলোচিত জোবায়ের চৌধুরী রিমু হত্যা মামলা ও ফারুক হোসেন হত্যা মামলা-সহ বিভিন্ন মামলার আসামী, জামায়াত নেতা ও তার সহযোগীরা।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নগরীর মতিহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অনুলিপি দিয়েছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র, পুলিশ কমিশনার ও ৩০ নংওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে। এ ঘটনায় মতিহার থানা পুলিশ আপোষ-মিমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। এদিকে পুলিশে অভিযোগ দেওয়ার পর তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায়, জমিরক্ষা ও জীবনের ভয়ে ভীত হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধার বর্তমান বয়স ৭৫ বছর, উচ্চরক্তচাপ ও হৃদরোগ-সহ নানাবিধ সমস্যায় ভূগছেন তিনি। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। সন্তানের জমি ও তার জীবন রক্ষায় জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে অনুরোধ জনিয়েছেন তিনি।
এ ব্যপারে রাজশাহী জামায়াতের নেতা ও সাবেক মেয়র প্রার্থী সিদ্দিক হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি জানেন। সেখানে তাদের জমি ছিল। বর্তমানে নেই। তবে জমিটি সরকারী রাস্তা। বিষয়টি তিনি মিমাংসার চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে ৩০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আলাউদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত ০৫/০৩/২০২৪ তারিখ সিটি কর্পোরেশনের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমি অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে কয়েকবার ফোনে জানিয়ে দিয়েছি। তিনি সরকারি রাস্তা থেকে রান্নাঘর সরিয়ে না নিলে শিঘ্রই কর্পোরেশন তা অপসারণ করবে।
এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), শেখ মোঃ মোবারক পারভেজ জানান, রাস্তার বিষয়ে যোগাযোগ করে অভিযুক্তদের কোন তথ্য ও সহযোগীতা পাওয়া যায়নি।