রাজশাহীতে আমগাছের মুকুলে গুটিকড়ালি দেখা দিয়েছে। ফলে চাষিরা আম নামবে বলে আশা করেছেন। এবার শীতের তীব্রতায় দেরিতে আমের মুকুলে গুটিকড়ালি বেঁধেছে। মূলত ফালগুনের শুরু থেকে আমগাছে মুকুল দেখা দেয়। চাষিদের মতে শীতের তীব্রতা থাকলে আমগাছে মুকুল বের হতে দেরি হয়। এবার সঠিক পরিচর্যা আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রাজশাহীর উপজেলার প্রায় আমগাছে মুকুলে আমের গুটিকড়ালি লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় কৃষি অফিসের তথ্যমতে জানা গেছে, রাজশাহীর উপজেলায় অসংখ্য বাগানে প্রতিবারের ন্যায় এবারো মুকুলে আমের গুটিকড়ালি বেঁধেছে। তবে, একবার কোন আমগাছে বেশি আম ধরলে পরের বার আম কম ধরে, একে বলা হয় ‘অফইয়ার’। এ কারণে যেসব আম গাছে গত বছর বেশি আম ধরে ছিল। এবার সেসব আম গাছে তেমন আমের মুকুল দেখা দেয়নি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ আমগাছে মুকুল বের হয়েছে। তবে এবারে কয়েক দফায় আকাশের বৃষ্টিতে মুকুল বেঁধেছে ভালো। স্থানীয় কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তারা চাষি ও ব্যবসায়ীদের সঠিক পরামর্শ প্রদানে পর্যাপ্ত পরিচর্যায় আমের গুটি কড়ালি বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
রাজশাহীর পবার বায়া এলাকার আমবাগানের মালিক মিজানুর রহমান জানান, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় আমগাছে মুকুল ধরেছে এবং আমের গুটিকড়ালি দেখা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা উপ-সহকারী মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া স্যাঁতসেঁতে হলে ম্যাঙ্গোহুপা নামক এক ধরনের পোকার আক্রমণ শুরু হয়। তখন এ পোকা আমগাছের মুকুলের রস চুষে খায়। এতে মুকুল কালো রঙ্গের হয়ে ঝরে পড়ে। আবার কুয়াশার কারণে ছত্রাকের আক্রমণ হয়ে থাকে এতে মুকুল নষ্ট হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, এ বছর রোগ বালাইয়ের আক্রমণ এখনো পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি। আমচাষিদের মতে প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় যদি না আসে তাহলে এবার রাজশাহীর সকল উপজেলায় আমচাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।