মুসলিম হয়েও মন্দিরে পুজো দিতেই তুলোধনা সারাকে


তামান্না হাবিব নিশু : , আপডেট করা হয়েছে : 22-03-2024

মুসলিম হয়েও মন্দিরে পুজো দিতেই তুলোধনা সারাকে

বলিউড অভিনেত্রী সারা আলি খান তাঁর ছবি 'অ্যায় ওয়াতান মেরে ওয়াতান'-এর জন্য খবরে রয়েছেন। এরই মধ্যে ফের একবার ট্রোলের নিশানায় এলেন অভিনেত্রী। আমরা আপনাকে বলি সারা একটি ধর্মনিরপেক্ষ পরিবারের মেয়ে। তাঁর বাবা সইফ আলি খান একজন মুসলিম এবং তাঁর মা অমৃতা সিং হিন্দু। অনেক সময়ই সারাকে তাঁর উপাধি এবং মন্দির-মসজিদে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে কারণে তিনি ট্রোলডও হন। ট্রলিংয়ের শিকার হওয়া যদিও এই প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।সম্প্রতি ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কথা বলেছেন সারা আলি খান। অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি একটি ধর্মনিরপেক্ষ এবং গণতান্ত্রিক দেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অযথা কথা বলার অভ্যাস তাঁর নেই। সারা বলেন তিনি এসবে পাত্তা দেয় না। শুধুমাত্র তাঁদের ব্যক্তিগত জিনিসের উপর অধিকার আছে। অভিনেত্রী বলেন, 'আমার কোন খাবার পছন্দ, কী ভাবে বিমানবন্দরে যাব, এটা আমার সিদ্ধান্ত।'

সারা আলি খান প্রায়ই ধর্মীয় স্থান থেকে তাঁর ছবি শেয়ার করলেই তা ঘিরে ওঠে নানা ধরনের প্রশ্ন। ২০২০ সালে, তিনি কাশী বিশ্বনাথ মন্দির থেকে একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন যে কারণে তাঁকে ট্রোলিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল। কাশীর কিছু পুরোহিত একে ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে বলেছেন। যদিও এই বিতর্কে অভিনেত্রী কখনওই খুব একটা আমল দেননি।

কয়েক বছর আগে কামাখ্যা দেবীর মন্দিরে বেড়াতে এসেছিলেন সারা আলি খান। ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিনেত্রীর ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জনগণ। সকলেই সারাকে তার ধর্ম সম্পর্কেও প্রশ্ন করতে শুরু করে।

সারা আলি খানের বিকিনি পরা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। আসলে সপরিবারে মলদ্বীপে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই সময়ে, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি শেয়ার করেছিলেন। যাতে তাঁকে ভাই ইব্রাহিম আলি খানের সঙ্গে বিকিনিতে দেখা যায়। কেউ আবার তাঁকে এমনও বলেছেন, 'অতটুকু পোশাক আর পরেছেন কেন?'

সারা আলি খানের এই স্টাইল অনেকেই পছন্দ করেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে নির্লজ্জতার সীমা অতিক্রম করার অভিযোগও তুলেছিলেন। এর আগেও তাঁকে ঘিরে মানুষের এই ধরনের নানা মতামত প্রকাশ করতে দেখা গেছে ।

সারা আলি খান বরাবরই শিবভক্ত। তাঁকে একাধিকবার দেখা গেছে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিতে যেতে। কিন্তু, কখনওই তিনি এসবে খুব একটা রিঅ্যাক্টও করেননি সেভাবে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]