রমজানে বেশি বেশি যেসব দোয়া পড়বেন


ধর্ম ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 21-03-2024

রমজানে বেশি বেশি যেসব দোয়া পড়বেন

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মহামারি করোনা পরিস্থিতির কালেও মুসলিম উম্মাহকে শান্তিপূর্ণভাবে মাহে রমজানের রোজাগুলো পালন করার তৌফিক দান করছেন, আলহামদুলিল্লাহ। মাহে রমজান ক্ষমার মাস এবং দোয়া কবুলের মাস। পবিত্র রমজানের রোজার মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা একজন রোজাদারকে গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে নতুন জীবন লাভ করার সুযোগ সৃষ্টি করেন। 

একজন মুমিন রোজা রেখে প্রশান্তি লাভ করেন আর তাই তো তার সবকিছুই তখন ইবাদতে পরিণত হয়ে যা। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে বলেছেন, ‘রোজাদারের নিদ্রা ইবাদততুল্য, চুপ থাকা তাসবিহ-তাহলিলতুল্য, আমল ইবাদত সওয়াব হাসিলে বেশি অগ্রগণ্য, দোয়া কবুলযোগ্য ও তার গুনাহ ক্ষমার যোগ্য।’ (বায়হাকি)।

রমজানের দিনগুলোতে আমাদের অনেক বেশি দোয়া করা উচিত। আমরা এই দোয়াটি পাঠ করতে পারি- মহানবী (সা.) এই দোয়া পড়তেন:

‘আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন গাযাবিহি ওয়া ইকাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াতিনি আইঁ ইয়াহযুরুন’ (সুনানে আবু দাউদ)। অর্থ: আমি আল্লাহতায়ালার পরিপূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে তার ক্রোধ ও আযাব হতে, তার বান্দার শত্রুতা হতে এবং শয়তানদের প্ররোচনা হতে সুরক্ষার জন্য আল্লাহতায়ালার আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তারা আমার কাছেই না আসতে পারে।

আমরা রমজানে ইসমে আযম দোয়াটিও বেশি বেশি পড়তে পারি। যে দোয়াটি সম্পর্কে হজরত সাদ বিন আবি ওয়াককাস (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, হজরত ইউনুস (আ.) মাছের পেটে যে দোয়া করেছিলেন কোন মুসলমান যদি এ দোয়া করে তখন তা কবুল হবে। (তফসীরে কুরতবী, ১১তম খণ্ড, পৃ. ৩৩৪)।

মাছের উদর-অন্ধকারে বসে আল্লাহর নবী হজরত ইউনুস আলায়হিস্ সালাম অত্যন্ত কাতর স্বরে যে দোয়াটি পড়েছিলেন তা দুয়ায়ে ইউনুস নামে বহুল পরিচিত। সেই দোয়াটি হচ্ছে : ‘লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুব্হানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ্ জলিমীন’ অর্থ: তুমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তুমি পবিত্র। নিশ্চয় আমি (নিজের প্রাণের ওপর) অত্যাচারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮৭)

মহানবী (সা.) হজরত ইউনুস (আ.)-এর এ দোয়াকে ইসমে আযম আখ্যায়িত করেছেন। এর মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার কাছে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় ঠিক, তবে বর্তমান কতকের যে ধারণা খতমে ইউনুসের মজলিস করে এক লাখ পঁচিশ হাজার বার এ দোয়া পড়লে সব সমস্যা হতে রক্ষা পাওয়া যাবে, তা মূলত সঠিক নয়। কেননা দোয়ার সাথে আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। শুধু দোয়া পড়লেই যে দোয়া কবুল হবে তা কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায় না। এর জন্য শর্ত হচ্ছে হৃদয় পবিত্র হতে হবে। পবিত্র হৃদয় নিয়ে যে দোয়া করা হয় সেই দোয়া আল্লাহ গ্রহণ করেন। 

মহানবী (সা.) দোয়া করতেন-

আসতাগফিরুল্লাহাল আজিম আল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি।

অর্থ : মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি এক ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী এবং তার দিকেই আমরা ফিরে যাবো।’

মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোয়াও পড়তেন-

‘রাব্বিগফিরলি ওয়া তুব্ আলাইয়্যা ইন্নাকা আংতাত তাওয়াবুর রাহিম।’

অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর, আমার তাওবা কবুল কর। নিশ্চয় তুমি অতিশয় তাওবাকবুলকারী, দয়াবান।'

‘আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাতা ওয়া আঝিরনা মিনান নার।’

অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও।’

‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান নার।’

অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাই।’

আসুন, আমরা আমাদের রোজাগুলোকে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগি এবং দোয়ার মাধ্যমে অতিবাহিত করি। হে দয়াময় প্রভু! আমাদের রোজাগুলো তুমি কবুল করে নাও আর আমাদেরকে ক্ষমা করে তোমার দয়ার চাদরে আবৃত করে নাও, আমিন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]