রাজশাহীর বাগমারায় তিন ফসলি কৃষিজমিতে পুকুর খননে বাধা দেওয়ায় ১০ কৃষককে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের কালুপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে কালুপাড়া গ্রামের সাইদুর রহমান, বাবলু রহমান ও ভুট্টু রহমানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, কালুপাড়া গ্রামের মৃত তাসের আলীর ছেলে জেহের আলী, নুর আলীর ছেলে সাইনুর রহমান, মোহাম্মদ আলীর ছেলে আরিফ হোসেন ও জোনাব আলীর ছেলে সুমন হোসেনসহ এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে যশোর বিলে কৃষকদের তিন ফসলি জমি দখল করে নিয়ে সোমবার রাতে জোরপূর্বক পুকুর খননকাজ শুরু করেন। এ সময় স্থানীয় কৃষকদের পক্ষে ৯৯৯ কল দেওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুকুর খনন বন্ধ করে দেন।
কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারও পুরোদমে পুকুর খননকাজ শুরু হয়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে কৃষকদের পক্ষে কালুপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে বাচ্চু, শামসুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন ও বল্টুর ছেলে জাহিদ হোসেন যৌথভাবে বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে পৃথকভাবে দুটি লিখিত অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের কপিতে এলাকার আরও প্রায় শতাধিক কৃষক স্বাক্ষর করেছেন।
কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হলেও অবৈধ পুকুর খনন বন্ধ হয়নি। এ কারণে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তাদের জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করার জন্য বাধা দিতে গেলে প্রভাবশালী জেহের আলী, সাইনুর রহমান, আরিফ হোসেন ও সুমন হোসেনের নেতৃত্বে তাদের ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা কৃষকদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, আমি আজই বাগমারায় যোগদান করেছি। ঘটনাটি জানার পর কৃষকদের ওপর হামলাকারী ও কৃষিজমিতে পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি।
বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্র তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।