চিনের নজরদারী জাহাজ ঢুকছে বঙ্গোপসাগরে!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 11-03-2024

চিনের নজরদারী জাহাজ ঢুকছে বঙ্গোপসাগরে!

বঙ্গোপসাগরে ঢুকছে চিনের নজরদার জাহাজ! সমুদ্রে বিভিন্ন জাহাজের উপর নজরদারি চালানো একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই শিয়াং ইয়াং হং-১ নামের জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে ভারতের পূর্ব উপকূলে নজরদারি চালানোর জন্যই ওই জাহাজকে পাঠাচ্ছে চিন। যদিও বেজিংয়ের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

জাহাজটির গন্তব্য কোথায়, তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এমনিতে বঙ্গোপসাগর ধরে এগোনো জাহাজের সম্ভাব্য গতিপথ হতে পারে শ্রীলঙ্কা, আরও স্পষ্ট করে বললে কলম্বো বন্দর। তবে সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার জানায় যে, এক বছর তারা দেশের কোনও বন্দরে নজরদার জাহাজকে ঠাঁই দেবে না। কলম্বোকে চাপ দিয়ে চিন সে দেশের বন্দরে তাদের নজরদার জাহাজকে নিয়ে যেতে চাইছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে ভারত।

সম্প্রতি মলদ্বীপের রাজধানী মালের বন্দরে গিয়েছে শিয়াং ইয়াং হং-৩ নামের আরও একটি যুদ্ধজাহাজ। সামরিক ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিনা সেনার বিশেষ ডুবোজাহাজ অভিযানের আগে ‘সমীক্ষা’ চালাতেই এই জাহাজকে পাঠানো হচ্ছে। তবে এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি এবং বিশাখাপত্তনমে নৌবাহিনীর ঘাঁটির অনতিদূরে চিনের নজরদার জাহাজের চলাচলকে ভাল ভাবে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি।

গত কয়েক বছরে চিনা নজরদার জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’, ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’ এবং ‘শি ইয়ান ৬’ শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে সাময়িক ঘাঁটি গেড়েছিল। যা নিয়ে নয়াদিল্লি-কলম্বো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ শুরু হয় বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’-এরও হাম্বানটোটায় নোঙর করার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের আপত্তিকে মর্যাদা দিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার চিনা চর জাহাজকে সে দেশে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

মলদ্বীপের বন্দরে আশ্রয় নেওয়া নজরদার জাহাজ সম্পর্কে চিনের শি জিনপিং সরকারের দাবি ছিল, জানুয়ারি থেকে মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ভারত মহাসাগরে ‘গভীর সমুদ্র সংক্রান্ত গবেষণা’র কাজে যুক্ত থাকবে ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’। এর আগে শ্রীলঙ্কায় চর জাহাজের উপস্থিতি নিয়েও তারা ‘সমুদ্র গবেষণা’র কথা বলেছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলির রিপোর্ট বলছে, অতীতে শ্রীলঙ্কার বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করে ভারতীয় নৌসেনার গতিবিধি এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উপর নজরদারির কাজ করে ওই জাহাজগুলি।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]