অনলাইনে টিকিট না পেয়ে কাউন্টারে ভিড় করেন যাত্রীরা। ফলে কাউন্টারের সামনে যেন ঈদের সময়ের মত টিকিট প্রত্যাশিদের উপচেপড়া ভিড় ছিল সারাদিনই। তবে কাউন্টারেও ছিল যাত্রীদের ভোগন্তি। নতুন সফটওয়্যার ঠিকমত কাজ না করায়, টিকিট পেতে ভোগান্তিতে পড়েতে হয়েছে যাত্রীদের। সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। মাঝে মধ্যেই হ্যাঙ হয়ে বন্ধ যাচ্ছে নতুন পদ্ধতির সফটওয়্যার। দীর্ঘ ভোগান্তির পর টিকিট হাতে পেলেও নানা বিড়ম্বনায় পড়েন যাত্রীরা। যাত্রার তারিখ, ট্রেন ছাড়ার সময় এমনকি ভাড়াতেও ভুলে ভরা টিকিট। এক ট্রেনের নামে অন্য ট্রেনের টিকিট, শোভন চেয়ারের নামে এসি সিটের ভাড়াও অনেকের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে।
কোনো কোনো যাত্রীর অভিযোগ, সকাল আটটার ট্রেন ছাড়ার সময় দেখানো হয়েছে দুপুর ১২টায় এভাবে নানা জটিলতায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। একদিনে অনলাইনে টিকিট না পেয়ে কাউন্টারে বাড়ছে ভিড় অন্যদিকে কাউন্টারে সার্ভার সহ নানা রকম কারিগরি জটিলতায় সহজ ডট কমের নতুন টিকিট বিক্রির পদ্ধতি যেন যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে বহুগুণ।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার জানিয়েছেন, নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সময় লাগবে বেশ কয়েকদিন। টিকিট বুকিং সহকারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে নতুন পদ্ধতিতে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি অল্প সময়ের মধ্যেই প্রত্যাশিত অবস্থায় ফিরবে বলে আশা তার। কাউন্টারে টিকিট বিক্রির ব্যাপারে আশাবাদী হলেও অনলাইনের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।
তবে ‘সহজ ডট কম’ এর পাবলিক রিলেশন্সশিপ ম্যানেজার ফারহাত আহমেদ বলছেন, টিকিট বিক্রির সফটওয়্যার তৈরি করতে অল্প কিছুদিন সময় পেয়েছেন তারা। মাত্র ২১ দিনে বানানো হয়েছে সফটওয়্যার তাই অনেক বিষয় এখনও সমাধান করা সম্ভব হয়নি। ‘সহজ ডট কম’ এর তৈরিকৃত নতুন ওয়েবসাইট পুরোপুরি সেবা দিতে নতুন করে সফটওয়্যার আপডেট করতে দেড় বছর সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। সমস্যার সাময়িক সমাধানের পথ খুজছেন তারা, স্থায়ী সমাধানের জন্য দেড় বছর সময় চান ‘সহজ ডট কম’।
রাজশাহীর সময় / এম জি