নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে নববধুর পায়ুপথে সঙ্গম করায় স্বামী মুক্তার হোসেন (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ওই নববধূর বাবা পিতা রাশিদুল ইসলাম বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় জামার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মুক্তার হোসেন গুরুদাসপুর পৌর সদরের মানিক উল্লাহর ছেলে।
পুলিশ ও নববধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, দিনমজুর রাশিদুল ইসলামের মেয়ের সাথে সাত মাস আগে মুক্তার হোসেনের বিয়ে দেন। বিয়ের সময় জামাতা মুক্তারের চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক দিতে পারে না রাশিদুল। তাই বিয়ের পর থেকেই যৌতুক লোভী মুক্তার হোসেন ওই নববধূকে কারণে-অকারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। যৌতুকের টাকা না পেয়ে মুক্তার প্রায়ই যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে বিকৃত যৌন নির্যাতন করতেন।
এরই এক পর্যায়ে গত ২৩ জানুয়ারি গভীর রাতে মুক্তার হোসেন নববধূর যৌনাঙ্গে ও পায়ুপথে উপর্যোপরি নির্যাতন বিকৃত যৌনাচার করে। এতে অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণে ওই নববধূ অসুস্থ হয়ে পরে। নববধূর চিৎকারে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অরিফা আফরোজ বানু জানান, নববধূ বিকৃত যৌনাচারের আলামত নিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। স্বামী-স্ত্রী মধ্যে যৌন অনাচারের বর্ণনা রোগীর মুখে শুনেছি।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানায়, যৌতুক না পেয়ে বিয়ের পর থেকেই নিয়মিত যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে তাঁকে বিকৃত যৌন নির্যাতন করতেন তার স্বামী মুক্তার হোসেন। নিষেধ করলে তিনি শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। ওই গৃহবধূ নরপশু স্বামীর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, ওই ঘটনায় গৃহবধূর বাবা রাশিদুল ইসলাম বাদি হয়ে তার মেয়ে জামাই মুক্তার হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলা দায়েরের পর মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।