রাজশাহীর বাঘায় ভুট্টাখেত থেকে নিখোঁজ এক বৃদ্ধার (৬০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে বাউসা ইউনিয়নের বাউসা পূর্বপাড়ার ওই খেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, লাশের মুখে কাটা দাগ, বাঁ কান ছেঁড়া ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্বজনদের দাবি, ওই নারীর গলায় সোনার চেইন ও কানে দুল ছিল। তা নিতেই তাঁকে হত্যা করা হতে পারে। বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সবুজ রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্বজনেরা জানান, নিহত মালেকা খাতুন (৬০) বাউসা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেনুপুর গ্রামের মৃত নাদের প্রামাণিক মেয়ে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও স্বজনেরা তাঁকে না পেয়ে থানায় জানান। আজ তাঁর বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দক্ষিণের ওই ভুট্টাখেতে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়।
প্রায় ৩৫ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় মালেকা খাতুনের। আড়ানী ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরে থাকতেন তিনি। তাঁর সংসার চলত ভিক্ষার টাকায়।
নিহতের ভাইয়ের ছেলে আব্দুল জলিল জানান, গতকাল সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে বিকেলে ফিরে আসেন মালেকা খাতুন। ওই দিন সন্ধ্যার পর আবার বের হন। পরে আর ফিরে আসেননি। তাঁর গলায় স্বর্ণের চেইন ও কানে দুল ছিল।
তাঁর দাবি, কেউ হয়তো স্বর্ণালংকার নেওয়ার জন্য তাঁকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তুফান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশ তদন্ত করে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য বের করবে—এটা আমার দাবি।’
বাঘা থানার পরিদর্শক সবুজ রানা জানান, খবর পেয়ে আজ দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় লাশের মুখে কাটা দাগ, বাঁ কান ছেঁড়া ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। মরদেহ উদ্ধার করে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ইউডি মামলা করা হয়েছে।