বৃহস্পতিবারই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি চক্রবর্তী। শুক্রবার সংসদীয় কাজের খতিয়ান দেখে নিন্দুকদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। এবার তারকা সাংসদের পোস্টে উঠে এল আক্ষেপের কথা।
শনিবার অভিনেত্রী ইনস্টা স্টোরিতে বব মার্লের এক জীবনদর্শনের কথা শেয়ার করেছেন। যার সারমর্ম করলে দাঁড়ায়, “মানুষ যখন সৎ থাকে তখনই সবাই তাকে ঘৃণা করে, কিন্তু মুখোশ পরা মানুষেরাই ভালোবাসা পায়।” গত দিন দুয়েক ধরেই মিমি চক্রবর্তীর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে রাজনৈতিকমহল তো বটেই এমনকী বিনোদুনিয়াও তোলপাড়। আচমকাই টলিউড অভিনেত্রীর এমন পদক্ষেপে স্তম্ভিত অনুরাগীরাও। এবার মিমির পোস্টে আক্ষেপের সুর।
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে এসেই মিমি চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, সাংসদ পদ ছাড়তে চান, এমনকী আগামী লোকসভা নির্বাচনে আর প্রার্থীও হতে চান না। আর সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুক্রবার বিকেলে সমাজ মাধ্যমে সাংসদ খাতের হিসেব দেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা থেকে বেরিয়েই নিন্দুকদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন, “সাংসদ ফান্ডের কত টাকা কোথায় ব্যবহার হয়েছে, কোথায় কাজ হয়েছে, সেই তথ্য নির্দিষ্ট পোর্টালেই পেয়ে যাবেন। এক নম্বরে কার নাম রয়েছে, সেটা যাচাই করে নিন। আর সেটাই আমার গর্বের কারণ।” ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে যাদবপুরের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এই কয়েক বছরে মোট ১৭ কোটি টাকার বেশি কাজ করেছেন সংসদীয় এলাকার জন্য। কোন এলাকায় কত টাকা খরচ হয়েছে? তার হিসেবও দিয়েছেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে।
ফেসবুক পোস্টে তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী লিখেছিছেন, “আমার জীবন অধ্যায়ের অধিকাংশ সময় অভিনয় জগতে থেকে মানুষকে মনোরঞ্জন করেছি। কিন্তু বিগত ৫ বছর, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গণতন্ত্রের একজন সাংসদ রূপে যতটা কাজ সাধারণ মানুষের জন্য করতে পেরেছি, মানুষের করের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি, সৎপথে থেকে মাথা উঁচু করে এগিয়ে গেছি… সেই সফরের কথা মনে করলে মারাত্মক আত্মতুষ্টি হয়।” কিন্তু শনিবার কেন তাঁর পোস্টে আক্ষেপের সুর? কার উদ্দেশেই বা এমন ভাবনা অভিনেত্রীর? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সমাজ মাধ্যমে।