জাপানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে বাধা নেই তাঁদের। এমনটাই জানালেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসক কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। পাশাপাশি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা পিয়ং ইয়ং সফরে আসতে পারেন, এমন ইঙ্গিতও দিলেন। তাঁর এই মন্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে বিচার করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে 'সূর্যোদয়ের দেশ'।
প্রসঙ্গত, উত্তর কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে সম্প্রতি কিশিদাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার সম্ভাব্য পরিস্থিতি রয়েছে। এই অবস্থায় উত্তর কোরিয়ার একনায়ক শাসকের বোনের এহেন মন্তব্যকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন কিম ইয়ো জং? তিনি বলেন, ”জাপান যদি পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রেখে সম্মানজনক আচরণের মাধ্যমে সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কোনও নতুন সরণি নির্মাণের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে চায়, তাহলে আমি মনে করি তা দুই দেশের জন্যই নতুন সম্ভাবনার রাস্তা খুলে দেবে।”
উত্তর কোরিয়ার সামরিক নীতির বরাবরই সমালোচক জাপান। বরাবরই পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক মিসাইলের মতো অস্ত্রের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে পিয়ং ইয়ং-এর সমালোচনা করেছে কিশিদার দেশ। কিন্তু কিম ইয়ো জংয়ের মন্তব্যের পরে সদর্থক প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছে টোকিও। জাপানের মুখ্য ক্যাবিনেট সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেছেন, ”ভাইস ডিরেক্টর কিম যে বিবৃতি দিয়েছেন, আমরা সেদিকে নজর রাখছি।”
তবে এর বেশি কিছু তিনি বলেননি। কেবল জানিয়েছেন, জাপান প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বৈঠক করার চেষ্টা বহুদিন ধরেই করছে। সেই সঙ্গেই তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, জাপানের অসামরিক নাগরিকদের অপহরণ ইস্যু মিটে গিয়েছে বলে উত্তর কোরিয়া যে দাবি করা তা তাঁরা মানেন না।