রমজান শুরুর আগেই কাজা রোজা আদায় জরুরি


ধর্ম ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 16-02-2024

রমজান শুরুর আগেই কাজা রোজা আদায় জরুরি

রোজা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। ঈমান, নামাজের পর সুস্থ, স্বাভাবিক প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষ সবার জন্য বাধ্যতামূলক ইবাদত হলো রমজান মাসের রোজা। প্রতিদিন সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সুর্যাস্ত পর্যন্ত পাহানার, স্ত্রী সহবাস, কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত বিধি-নিষেধ থেকে বিরত থাকাকে রোজা বলা হয়।

রমজানের রোজা ফরজ হয়েছে হিজরতের দ্বিতীয় এবং নবুয়তের ১৫তম বছরে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন — হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেনো তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পারো। (সূরা বাকারা, আয়াত, ১৮৩)

অপর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা রমজান মাস পাবে, তারা যেন এ মাসে রোজা পালন করে।’ (সূরা বাকারা, আয়াত, ১৮৫)।

প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মুসলিমের উপর রোজা রাখা ফরজ। কেউ রোজাকে অস্বীকার করলে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যাবে। শরীয়তের দৃষ্টিতে ইসলামের প্রধান বিধান রোজা অস্বীকার করা ব্যক্তিকে কাফের ও মুরতাদ বলে গণ্য করা হয়। তাই গুরুত্বসহ রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলিমের ওপর আবশ্যকীয়। 

তবে রমজান মাসে অসুস্থ, অতিবৃদ্ধ, মুসাফির, গর্ভবতী নারীর জন্য রোজা না রেখে পরবর্তীতে রোজার কাজা, কাফফারা, ফিদইয়া ইত্যাদি বদলা ব্যবস্থা স্থির করে শরিয়তে সুনির্দিষ্ট বিধি-ব্যবস্থা রয়েছে।

এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ পীড়িত হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় সংখ্যা পূরণ করে নিতে হবে। এ (সিয়াম) যাদের অতিশয় কষ্ট দেয় তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া-একজন মিসকিনকে অন্নদান করা। যদি কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎ কাজ করে, তবে সেটা তার পক্ষে অধিকতর কল্যাণকর। তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে, তারা যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে। আর কেউ পীড়িত থাকলে অথবা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যেটা সহজ সেটাই চান এবং যা তোমাদের জন্য ক্লেশকর, তা চান না এ জন্য যে তোমরা সংখ্যা পূরণ করবে।’ (সূরা আলবাকারা, আয়াত, ১৮৪-১৮৫)

কোনো কারণে রমজানের রোজা আদায় করতে না পারলে সঠিক পদ্ধতি অনুযায়ী রোজার কাজা আদায় করতে হবে। নতুন রমজান আসার পূর্বে তওবা ইস্তেগফার করে যাবতীয় কল্যাণ লাভে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। বিগত রমজানের যদি কোনো কাজা রোজা থাকে, তাহলে রমজান শুরুর আগেই সেগুলো আদায় করে নেয়া জরুরি। অন্যথায় জীবনে কাজা রোজার বোঝা ভারি হয়ে যেতে পারে। এবং এ কারণে আল্লাহ তায়ালার সামনে কঠোর জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে।

এছাড়া রমজানজুড়ে আমরা কখন কী আমল করব তার একটা রুটিন তৈরি করাও জরুরি। কেননা, আগাম রুটিন থাকলে রমজানে চরম ব্যস্ততার মাঝেও আমরা আমলগুলো যথাসময়ে আদায় করতে পারব।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]