রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। আদর্শিক, পরিক্ষিত, জন ও কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব হিসেবে সর্ব মহলে প্রশংসিত ময়না। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আবারো দলীয় সমর্থন পাচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ময়নার কোনো বিকল্প নাই।কারণ এখন পর্যন্ত তার বিপক্ষে প্রতিদন্দীতা করার মতো কারো নাম শোনা যায়নি। তার বিপক্ষে মনোনয়ন চাইবেন এমন সক্ষমতা সম্পন্ন কোনো নেতৃত্ব নাই।
জানা গেছে, প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন থাকে, তবে স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে নানা প্রতিবন্ধকতা। যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন তিনিই হন সফল। ওয়ার্ড থেকে ধীরে ধীরে উঠে আশা এমনই একজন সফল জনপ্রতিনিধি ও নেতৃত্ব উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না। যিনি রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই অনেক বাধা, বিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।তিনি রাজনীতিক নেতা হিসেবেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়নে ও গরীব অসহায় মানুষের পাশে থেকেছেন সর্বদায়। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে দলকে সাংগঠনিকভাবে এগিয়ে নিতে নিরলস ভাবে শ্রম দিয়েছেন এখানে দিচ্ছেন। তিনি কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) পরপর দু'বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি এখানো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসাবে নিরলস ভাবে জনগণের সেবায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ময়না তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার মধ্যমে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারের সমন্বয়ে এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তাঁর সময়ে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে (ইউপি) সরকারের বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিটা, কাবিখা ও কর্মসৃজন কর্মসূচিসহ প্রতিটি উন্নয়ন কাজ সঠিক ও সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আবারো দলীয় সমর্থন পাবার দৌড়ে অন্যদের থেকে যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছেন। দলীয় সমর্থন পেলে এবারো তার বিজয় প্রায় নিশ্চিত। আগামী নির্বাচনে আবারও বড় ব্যবধানে বিজয় নিশ্চিত করতে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এলাকায় তিনি একজন ক্রীড়ামোদী সাদা মনের, উদার মানসিকতা ও দানশীল মানুষ হিসেবে পরিচিত।স্থানীয় বাসিন্দাগণ বলেন, তারা নেতা বা চেয়ারম্যান বোঝেন না তারা নেতা বলতে বোঝেন ময়না।
ময়না ভাই একজন ভাল মানুষ, তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি। তারা বলেন, ময়না ভাই রাজনৈতিক নেতা হিসেবে কতটা সফল বা ব্যর্থ তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হতেই পারে, তবে সংগঠন শক্তিশালী করতে তার যে অবদান সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নাই। আবার জনপ্রতিনিধি হিসেবে শতভাগ সফল এটা অস্বীকার বা এনিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নাই। একটা সময় উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় ছিল অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া। কিন্ত্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর বদলে গেছে পুরো উপজেলা পরিষদের চিত্র। এখানো তাদের দু:খ-দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়।ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী, মেধাবী জনপ্রতিনিধি ও সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত। বিগত উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচনী প্রচারণায় সময়ে সাধারণ মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন ময়না। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পর উপজেলার উন্নয়নে মহা- পরিকল্পনা গ্রহন করেন। স্থানীয় সাংসদের সার্বিক সহযোগিতায় গৃহীত পরিকল্পনার আলোকে তিনি একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ তাকে একজন মানবদরদী ও মহতী মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছেন জনগণ। তিনি এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টির উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তিনি উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়ন, কালভাট, ব্রীজ স্কুল,মাদ্রাসা,কবরস্থান, মসজিদ ,ঈদগা মাঠ সংস্কার করেছেন। অসহায় গরীব দু:খী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ইত্যাদি বিতরণ কার্যক্রম দেখভাল করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করছেন।অন্যদিকে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গ্রাম আদালত কার্যক্রম তিনি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করেছেন। এছাড়াও তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়মিত অফিস করছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছেন। আগামী দিনে তিনি তার সততা ও কর্মদক্ষতা কাজে লাগিয়ে উপজেলা বাসীকে সেবা দিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে উপজেলাকে স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবেন।