আমেরিকায় আবারও বন্দুকবাজদের হামলায় প্রাণ হারালেন এক মহিলা। আহত আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বুধবার আমেরিকার কানসাস শহরে 'সুপার বোল' প্রতিযোগিতার বিজয় উত্সবের মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এই বিখ্যাত প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে উন্মাদনা থাকে চোখে পড়ার মতো।
সেই প্রতিযোগিতার বিজয়ী দল কানসাস শহরে তাদের জয় উদযাপন করছিল। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সেই উত্সবের মধ্যেই বন্দুক হাতে ঢুকে পড়েন কয়েক জন। তার পর আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন।
গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় ভিড়ের মধ্যে। উপস্থিত সকলের মধ্যেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ভিড়ের মধ্যে ২১ জনের গুলি লেগেছে। তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি আহতদের মধ্যে ১১ জনই স্কুলপড়ুয়া। হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেখানেই চিকিত্সা চলছে তাদের। বন্দুকবাজের হামলায় নিহত মহিলার নাম লিসা লোপেজ গালভান। কানসাস পুলিশ জানিয়েছে, লিসার পেটের নিচের দিকে গুলি লেগেছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কেন তাঁরা গুলি চালালেন, তাঁদের উদ্দেশ্য কী ছিল, সেই সব প্রশ্নের উত্তর এখনও পায়নি পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে বলে খবর কানসাস শহরের পুলিশ সূত্রে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, গুলির শব্দ শোনা মাত্রই আতঙ্ক ছড়ায়। প্রাণ বাঁচানোর জন্য ছোটাছুটি শুরু করেন সকলে। বেশ কয়েক জনের গায়ে গুলি লাগে। তবে আরও হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত, তবে ভিড়ের মধ্যে কয়েক জনের উপস্থিত বুদ্ধি এবং তত্পরতার কারণে তা এড়ানো গিয়েছে। বুধবারের ঘটনার কিছু ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও সেই সব ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সেই সব ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ভিড়ের মধ্যে এক জন মহিলা এক বন্দুকবাজের পিছনে দৌড় শুরু করেন। হঠাত্ই বন্দুকবাজের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁর হাত থেকে ছিটকে পড়ে বন্দুকটি। তার পর বাকিরা ধরে ফেলেন তাঁকে। পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে। কানসাস সিটি পুলিশের প্রধান স্টেসি গ্রেভস সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ''যা ঘটেছে, তা একে বারেই কাম্য নয়। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি।''
উল্লেখ্য, আমেরিকায় বার বার বন্দুকবাজদের হামলার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দিন দুয়েক আগেই নিউ ইয়র্ক শহরের সাবওয়ে স্টেশনের ভিতর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক জন। গত বছর অক্টোবরে এক স্কুলে বন্দুকবাজদের হামলায় ২২ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছিল।