বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) এর কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের অভিজ্ঞতা অর্জন ও জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) কর্তৃক বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা, কর্মচারীর প্রশিক্ষণ কোর্সে পারস্পারিক শিখন কর্মসূচির আওতায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগর ভবন সিটি হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভায় বিসিসি‘র মেয়রের শুভেচ্ছা স্মারক বিসিসি‘র প্রতিনিধির হাতে তুলে দেন ও অতিথিদের উপহার প্রদান করেন রাসিক মেয়র।
উল্লেখ্য, পারস্পারিক শিখন কর্মসূচির আওতায় বিসিসি‘র কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, গাজীপুর, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার ও বুধবার রাজশাহী মহানগরীর ঘুরে দেখেন। তারা রাজশাহী নগরীর উন্নয়ন, সবুজায়ন, পরিচ্ছন্নতা ও আলোকায়ন দেখে মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অবস্থা নাজুক ছিল। এমনকি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কয়েকমাস বকেয়া পড়ে ছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর এই সিটি কর্পোরেশনকেই একটা জায়গায় নিয়ে এসেছি। এখন প্রতি মাসের শুরুতেই স্থায়ী-অস্থায়ী সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। আসলে সদিচ্ছা থাকলেই সব কিছু করা সম্ভব। উন্নয়ন হচ্ছে, এবার আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ অব্যাহত রেখেছি।
রাসিক মেয়র আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দেশ উপহার দিয়েছেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় এনে নাগরিকদের বয়স্ক, প্রতিবন্ধী, বিধবা সহ বিভিন্ন ভাতা দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার উন্নয়ন দেখতে ইউরোপ-আমেরিকা নয়, রাজশাহী যেতে বলেছেন। এই কথাটি আমাদের কাজের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
রাসিক মেয়র বলেন, একজন নাগরিককে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন সেবা প্রদান করে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানসমূহ। পারস্পারিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। এটি ভালো ফলাফল বয়ে আনবে। এই উদ্যোগ গ্রহণ করায় এনআইএলজি‘কে ধন্যবাদ জানাই।
রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ.বি.এম শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন এনঅইএলজির যুগ্ম-সচিব (যুগ্ম পরিচালক) শফিকুর ইসলাম, রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নিযাম উল আযীম, বিসিসি‘র প্যানেল মেয়র ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর কহিনুর বেগম, বিসিসি‘র সচিব মাসুমা আক্তার। স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের সচিব মোঃ মোবারক হোসেন। মঞ্চে ছিলেন বিসিসি‘র ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মনিরুজ্জামান, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সামজিদুল কবির বাবু প্রমুখ। পাওয়ারপয়েন্টে প্রেজেন্ট্রেশন উপস্থান করেন রাসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন ডলার ও উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু। সভায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর-কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, গাজীপুর, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিসিসি‘র প্যানেল মেয়র ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর কহিনুর বেগম বলেন, জাতির একজন সূর্য সন্তানের সূর্য সন্তান হিসেবে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন দেশের প্রতি যে দায়িত্ব, সেটি তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। রাজশাহী দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি। আমরা রাজশাহীর অভিজ্ঞতা বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে কাজে লাগাতে চাই।
বিসিসি‘র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, রাজশাহী নগরী ঘুরে দেখে আমরা অভিভূত হয়েছি। যেখানে গিয়েছি সেখানেই যেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয়ের ছোয়া দেখতে পেয়েছি। তিনি গ্রিনসিটি উপহার দিয়েছেন। প্রশস্ত রাস্তা এবং নগরীর বিভিন্ন পুকুরের সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ দেখেছি। এটি কীভাবে করা সম্ভব হলো সেটি জেনে আমরা অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই।