তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে রহস্য যেন আরও ঘনীভূত হচ্ছে! জিরানগাছা ব্লক প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরদিনই সংসদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়লেন যাদবপুরের সাংসদ।
সূত্রের খবর, সংসদের দু’টি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি। নিজের সিদ্ধান্তের কথা লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানিয়েছেন যাদবপুরের সাংসদ। সংসদে শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ছিলেন শক্তি এবং নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের যৌথ কমিটির সদস্য ছিলেন। তা থেকেও তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে মিমির এই ইস্তফা দেওয়ার বহরে স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে ঘিরে জল্পনার উদ্রেক হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজনীতি থেকে নিজেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নিচ্ছেন মিমি? আসলে সাংসদ হলেও সংসদে মিমির সক্রিয়তা সেভাবে চোখে পড়ে না। দলের অন্যান্য সাংসদদের তুলনায় নিজের এলাকাতেও তাঁর সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে একাধিক। চব্বিশের ভোটে তাঁকে দল টিকিট দেবে কিনা, সেটা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীর একের পর এক ইস্তফা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, দিন দুই আগেই দলের আরেক তারকা সাংসদ দেবের ক্ষোভ প্রশমন করেছে দল। দেবের দাবি মানতে সরকার এবং দলের তরফে একাধিক বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হল, মিমির ক্ষেত্রেও কি সেটা হবে, নাকি তাঁকে নিয়ে দেবের মতো আগ্রহ দেখাবে না দল? অবশ্য মিমি ঠিক কী কারণে এই ইস্তফার সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছেন, সেটা এখনও অজানা।