গাজার খান ইউনিসে ইসরাইলি স্নাইপাররা নাসের হাসপাতালের বাইরে অন্তত ২১ জনকে হত্যা করেছে এবং চিকিৎসা কর্মীদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১০৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৪২ জন আহত হয়েছে।
মধ্য গাজায়, একটি আবাসিক এলাকায় বোমা হামলার পর বিপুল সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বেসামরিক প্রতিরক্ষা সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে ভারী গোলাবর্ষণ এবং গোলাগুলির কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ চাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালের চারপাশে, ইসরাইলের নতুন হামলার প্রবণতা দেখা গেছে। ইসরাইলি স্নাইপাররা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকা ঘিরে রেখেছে এবং লোকজনকে গুলি করছে। এ পর্যন্ত রাস্তা থেকে ১৭টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হামলাকারী ড্রোন হাসপাতালের ছাদে জড়ো হওয়া একদল তরুণকেও লক্ষ্য করে গুলি করে। যোগাযোগ ব্ল্যাকআউটের কারণে, তারা তাদের মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের জন্য সিগন্যাল পাওয়ার চেষ্টা করছিল যাতে তারা পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
এদিকে, ইসরাইল আক্রমণ করলে রাফাতে ‘একটি বিশাল ট্র্যাজেডি’ ঘটার আগেই গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন জাতিসংঘের প্রধান। গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষকে ইসরাইলের সামরিক আক্রমণ থেকে সুরক্ষার সন্ধানে রাফাতে ঠেলে দেয়া হয়েছিল। মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘তারা পানি, বিদ্যুৎ এবং পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতিতে জনাকীর্ণ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছে।’
৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২৭,৯৪৭ জন নিহত এবং ৬৭,৪৫৯ জন আহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,১৩৯। সূত্র: আল-জাজিরা।