আমেরিকার অতিগোপনীয় নথি রক্ষণাবেক্ষণ ইস্যুতে সদ্যই মার্কিন স্পেশ্যাল কাউন্সেল রবার্ট হারের এক সিদ্ধান্তে খানিকটা স্বস্তি পেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গোপনীয় নথি রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনছেন না। তবে কাউন্সেলের রিপোর্টে বাইডেনকে ‘খারাপ স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন বয়স্ক ব্যক্তি’ বলে উল্লেখ করেছেন। এতেই বেজায় ক্ষুব্ধ ৮১ বছরের মার্কিনি প্রেসিডেন্ট।
হোয়াইট হাউসে সদ্য সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে লাইল টেলিভিশনে বাইডেন নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। এক রিপোর্টে সদ্য দাবি করা হয় যে ২০১৫ সালে তাঁর ছেলে কবে মারা গিয়েছিলেন তা মনে করতে পারেননি বাইডেন। এই সমস্ত অভিযোগ মাথায় রেখে দৃপ্তকণ্ঠে মার্কিনি ডেমেক্র্যাট বাইডেন বলেন, ‘আমার স্মৃতিশক্তি ঠিক আছে।’ উল্লেখ্য, আর ৯ মাসের মধ্যে আমেরিকায় ভোট। তার আগে স্পেশ্যাল কাউন্সেলের রিপোর্টে বাইডেনের বয়স নিয়ে যা বলা হয়েছে, তা কোনও ‘বম্বশেলে’র চেয়ে কম নয়!
বাইডেন বলছেন, ‘সেখানে এমনও রেফারেন্স বলা হয়েছে যে আমি মনে করতে পারিনি যে কবে আমার ছেলে মারা গিয়েছেন। কোন সাহসে একথা তিনি বলতে পারেন?' উল্লেখ্য, সদ্য রবার্ট হার কার্যত, মার্কিন অতিগোপনীয় নথি নিজের কাছে সংরক্ষণ নিয়ে বাইডেনকে অপরাদমূলক অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছেন অভিযোগ গঠন না করে। তবে তাঁর রিপোর্টে উঠে আসে বক্তব্য বাইডেনের স্মৃতিশক্তি আর বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
রবার্ট হারের থেকে এই ছাড়পত্র পাওয়া মানে বোঝায়, মার্কিন অতিগোপনীয় নথি নিজের কাছে সংরক্ষণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কোনও ভুল করেননি। এই ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেয় ২০২১ সালের এক ঘটনাকে। সেবার ভোটে হেরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে যাওয়ার সময় গোপন নথি নিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। সেই নথি তিনি ফেরতও দিচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ ছিল। এদিকে, আসা যাক বর্তমান পরিস্থিতিতে। কাউন্সেলের রিপোর্ট নিয়ে বাইডেন বলছেন, ‘আমি ভালো, আমি একজন বয়স্ক মানুষ, আমি জানি আমি কী করছি।… একবার দেখুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমি কী কী করেছি।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার আরও এক প্রেস কনফারেন্সে বাইডেন কথা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মনে করতে পারছিলেন না হামাস-এর নাম। ইজরায়েলের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধে গতকয়েক মাসে গাজায় বিপুল রক্তক্ষরণ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের আগুন জ্বলেছে। বহু মৃত, বহু আহত। তা নিয়ে কূটনীতির ময়দানে নেমে আমেরিকাও বক্তব্য রাখতে ছাড়েনি। সেই জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের নাম মনে করতে পারছিলেন না বাইডেন।
ইজরায়েলের যুদ্ধ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা মুভমেন্ট হচ্ছে… আমি চাইছি না.. আমি চাইছি না… দাঁড়ান আমাকে শব্দটা বেছে নিতে দিন… আ.. একটা মুভমেন্ট হচ্ছে। একটা পাল্টা জবাব… আহ.. একটা পাল্টা জবাব বিরোধীরা দিচ্ছে…আ…!’ এই 'বিরোধী' শব্দ দিয়ে তিনি বক্তব্যে হামাসকে উল্লেখ করতে চান।