পাকিস্তানে চলছে জাতীয় নির্বাচন। ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই দেশজুড়ে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। রাজধানী ইসলামাবাদে প্রস্তুত রয়েছে সেনা। ১২.৮ কোটি মানুষ এদিন ভোট দেবেন পাকিস্তানে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে প্রায় ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি। সরকার ভেঙেছে, জেলে গিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
সীমান্ত প্রদেশগুলোতে লাগাতার হামলা চালিয়েছে পাক তালিবান-সহ একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন চলছে পাকিস্তানে। বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন শুরুর আগেই দেশজুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল পরিষেবা। আভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাময়িকভাবে দেশজুড়ে বন্ধ থাকবে মোবাইল পরিষেবা। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ। পুলিশকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে পরিস্থিতির অবনতি হলে সামাল দেওয়া যায়। এদিকে জেলে বসেই পাক জনতার উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন ইমরান খান। বলেছেন, ভোটটাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। সকলে যেন যথাযথভাবে ভোট দেন।
এদিকে, পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন, বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপিসহ ছোট-বড় প্রায় ১৪টি রাজনৈতিক দল। তবে নির্বাচনের মাঠে নামতে দেওয়া হয়নি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমারন খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআইকে)।