হাউথিরা হামলা না থামালে বাণিজ্যিক সম্পর্ক একেবারে ছিন্ন হয়ে যাবে। ইরানকে সরাসরি এই হুশিয়ারি দিল চিন। গত কয়েকদিন ধরে একাধিকবার বেজিং ও তেহরানে বৈঠকে বসেছেন দুই দেশের আধিকারিকরা। তার পরেই চিনের তরফে এই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেনি চিন।
গাজায় ইজরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদের লোহিত সাগরে বাণিজ্যতরীতে হামলা চালাচ্ছে ইরান সমর্থিত হাউথিরা। আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশের বারংবার নিষেধ করা সত্ত্বেও নিজেদের আক্রমণ থামাতে রাজি নয় ইয়েমেনের জঙ্গি সংগঠনটি। বরং একের পর এক জাহাজ লক্ষ্য় করে বিধ্বংসী হামলা চালাচ্ছে তারা। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে চিনও। কারণ লোহিত সাগর দিয়ে যাতায়াত করে একাধিক চিনা বাণিজ্যতরী। কিন্তু হাউথিদের হামলার জেরে সমস্যায় পড়ছে তারাও। ফলে চাপে পড়েই বন্ধু ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিতে বাধ্য হয়েছে চিন। উল্লেখ্য, ইজরায়েল-হামাস দ্বন্দ্বেও হামাসের দিকে বেজিংয়ের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু হামাসশাসিত গাজার সমর্থনে হাউথি হামলাতে ক্ষতি হচ্ছে সেই চিনেরই।
এহেন পরিস্থিতিতে ইরানকে সরাসরি ভাতে মারার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেজিং। তাদের মতে, হাউথিদের বুঝিয়ে লোহিত সাগরে হামলা থামানোর ব্যবস্থা করতে হবে ইরানকে। সেইসঙ্গে চিনা বাণিজ্যতরীতে যেন হামলা না হয় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হবে চিন। যদিও এই বিষয়ে সরকারিভাবে চিনের তরফে কোনও বিবৃতি মেলেনি। প্রসঙ্গত, ইরানের রপ্তানি করা অশোধিত তেলের ৯০ শতাংশই কেনে চিন। সেটা বন্ধ হয়ে গেলে ইরানের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে,সেকথা বলাই বাহুল্য।