বুধবার ৬৫ জন ইউক্রেনীয় বন্দিকে নিয়ে ভেঙে পড়ল রাশিয়ার বিমান! ইউক্রেনের সঙ্গে বন্দি বিনিময়ের জন্য তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএ-কে এমনটাই জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আশঙ্কা করা হচ্ছে বিমানে থাকা সকলেই প্রাণ হারিয়েছেন। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই বিষয়ে কোনও তথ্য মেলেনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্রেমলিন।
রয়টার্স সূত্রে খবর, এদিন ইউক্রেন সীমান্তের বেলগোরোড অঞ্চলে ভেঙে পড়ে Ilyushin Il-76 নামে একটি রুশ সামরিক বিমান। ৬ জন বিমানকর্মী, ৩ জন গার্ড-সহ মোট ৭৪ জন ছিলেন বিমানটিতে। এর মধ্যে ৬৫ জন ইউক্রেনীয় বন্দি ছিলেন বলেই খবর। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কী কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এনিয়ে এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং বিমানবাহিনী কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
কিন্তু এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই কূটনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যেমন রাশিয়ার পার্লামেন্টের আইন প্রণেতা তথা অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আন্দ্রেই কার্তাপোলভের দাবি, “পার্লামেন্টের অধিবেশন চলাকালীন বিমানটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছিল।” যদিও কোন সূত্রে এই তথ্য পেয়েছেন তা জানাননি তিনি। এছাড়া গত কয়েক মাসে এই বেলগোরোড অঞ্চলে একাধিক হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন। ডিসেম্বর মাসেই ইউক্রেনীয় ফৌজের মিসাইল হানায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৫ জন।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বেশ কয়েকবার বন্দি বিনিময় হয়েছে দুদেশের মধ্যে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মধ্যস্থতায় বন্দি বিনিময় হয়। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সম্মতিতে ঘরে ফিরেছিলেন দুদেশের মোট ৪৭৮ জন নাগরিক। কিন্তু দুবছর পূর্ণ হতে চললেও রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কোনও রফাসূত্র পাওয়া যায়নি। আক্রমণ-পালটা আক্রমণে বজায় রয়েছে লড়াইয়ের ঝাঁজ। জারি রয়েছে মৃত্যুমিছিল। রণক্ষেত্রে একে ওপরকে এক চুল জমি ছাড়তে নারাজ দুদেশই।