১০০ দিন পূর্ণ হয়েছে ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধের। কিন্তু লড়াই থামার নাম নেই। গাজায় মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণ করছে ইহুদি দেশটি। তাদের আক্রমণেই মৃত্যু হয়েছে দুই ইজরায়েলি পণবন্দির। ভিডিও প্রকাশ করে এমনটাই দাবি করেছে প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী হামাস যোদ্ধারা।
রয়টার্স সূত্রে খবর, সোমবার ভিডিও প্রকাশ করে দুই পণবন্দির দেহ দেখায় হামাস জঙ্গিরা। দাবি করা হয়, ইজরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে তারা। এদিনের ভিডিওটিতে নোয়া আরগামনি (২৬) এক মহিলা পণবন্দিকে বলতে শোনা যায়, ইজরায়েলি বাহিনীর হামলায় মৃত্যু হয়েছে দুজন পণবন্দির। ওই মহিলাকে শনাক্ত করেছে ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম। রবিবার হামাস যেদ্ধারা জানিয়েছিল, গাজায় বোমা ফেলছে দখলদার ইজরায়েলি সেনা। যে কারণে কয়েকজন পণবন্দির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পাশাপাশি হুমকি দেওয়া হয়েছিল, গাজায় যদি আক্রমণ বন্ধ না করা হয় তাহলে বাকি পণবন্দিদের মেরে ফেলা হবে।
জানা গেছে, মৃত দুই পণবন্দির নাম ইয়োসি শারাবি (৫৩) এবং ইটাই সভিরস্কি (৩৮)। হামাসের এই ভিডিও দেখার পর পণবন্দিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইজরায়েল। এই বিষয়ে ইজরায়েলি সেনার মুখোপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, “হামাস মিথ্যা বলছে। যে বিল্ডিংয়ে তাঁদের রাখা হয়েছিল সেটিকে নিশানা করা হয়নি। সেখানে আমাদের বাহিনী কোনও হামলা চালায়নি।”
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যের এই লড়াই থামাতে আমেরিকার চেষ্টার শেষ নেই। যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সমস্ত শক্তির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি চাইছে হোয়াইট হাউস। এমনকী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেও ইজরায়েল সফরে গিয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছিলেন। উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন নারী-শিশু-সহ হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু নিয়ে। কিন্তু ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অনড় নিজের সিদ্ধান্তে। একাধিকবার হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেছেন, হামাসের শেষ না দেখা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে। এখনও পর্যন্ত ইহুদি দেশটির আক্রমণে গাজায় মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে।