রাবিআহ ইবনে কাব আসলামি (রা.) বলেন, আমি রাতে আল্লাহর রাসুলের (সা.) সাথে অবস্থান করতাম। তার ওজুর পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস এনে দিতাম। একদিন তিনি আমাকে বললেন, তুমি আমার কাছে কিছু চাও। আমি বললাম, আমি জান্নাতে আপনার সাথে থাকতে চাই। তিনি বললেন, এ ছাড়া আর কিছু? আমি বললাম, এটাই আমি চাচ্ছি। তিনি বললেন, তাহলে বেশি বেশি সিজদা করে (নফল নামায পড়ে) এ ব্যাপারে আমার সাহায্য করো। (সহিহ মুসলিম: ১১২২)
এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, জান্নাতে যাওয়ার এবং সেখানে উচ্চ মর্যাদা লাভ করার অন্যতম সিঁড়ি হলো নামাজ। মানুষ যতো বেশি নামাজ আদায় করে, যতো বেশি সিজদা করে, ততো বেশি আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে। আল্লাহর কাছে তার মর্যাদা তত বাড়ে।
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্তে ১৭ রাকাত নামাজ ফরজ যা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ছেড়ে দেওয়া মহাপাপ। পাঁচ ওয়াক্তে ১২ রাকাত নামাজ সুন্নতে মুআক্কাদা, তিন রাকাত নামাজ ওয়াজিব। এ ছাড়া মাকরুহ ও নিষিদ্ধ সময়গুলো বাদ দিয়ে সারাদিনই নফল নামাজ আদায় করা যায়। তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত, আওয়াবিনসহ দিনের বিভিন্ন সময়ের নফল নামাজের বিশেষ ফজিলতও রয়েছে।
নামাজ মানুষের সর্বোত্তম আমল। রাসুল সা, বলেছেন,
اسْتَقِيمُوا وَلَنْ تُحْصُوا وَاعْلَمُوا أَنَّ خَيْرَ أَعْمَالِكُمُ الصَّلاَةُ
তোমরা দ্বীনের উপর অবিচল থাকো, যদিও তোমরা আয়ত্তে রাখতে পারবে না। জেনে রাখো, তোমাদের আমলসমূহের মধ্যে সর্বোত্তম হল নামাজ। (ইবনে মাজা)
তাই ফরজ ও সুন্নত নামাজগুলো আদায় করার পাশাপাশি আমাদের কর্তব্য দিন ও রাতের নফল নামাজগুলো যথাসাধ্য আদায় করা। এগুলো মানুষকে আল্লাহর কাছে নিয়ে যায় ও জান্নাতের নিকটবর্তী করে।