তানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভারী বর্ষণের ফলে সোনার খনিতে ভূমি ধ্বসে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরে বারিয়াদি জেলার সিমিউতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সোমবার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই অঞ্চলের বারিয়াদি জেলার প্রশাসক সাইমন সিমালেঙ্গা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় শনিবার ভোরে সিমিউ অঞ্চলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
সেই সময় ২৪ থেকে ৩৮ বছর বয়সী একদল লোক এমন একটি জায়গায় খনন শুরু করেছিল, যেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কার্যকলাপ সীমিত ছিল। সাইমন জানিয়েছেন, 'প্রাথমিকভাবে আমাদের বলা হয়েছিল, ১৯ থেকে ২০ জন মানুষ খনিতে আাটকে পড়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা ২২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি।' তিনি জানিয়েছেন, দলটি প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ আগে খনিসমৃদ্ধ একটি জায়গা আবিষ্কার করেছিল। সরকার শারীরিক ও পরিবেশগত সুরক্ষা এবং পদ্ধতি অনুমোদন করার আগেই তারা খনন শুরু করতে চলে গিয়েছিলেন।
আঞ্চলিক খনি কর্মকর্তা পরিদর্শনের পর খনন থেকে বিরত থাকতে বলেছিলেন জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেছেন, দলটি আদেশ অমান্য করে শুক্রবার খনন শুরু করে। পরে তারা ভেতরে আটকে পড়েন। ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু।