মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার বলেছেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানে গতকাল প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ভোটাররা চীনকে প্রত্যাখ্যান করে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী লাই চিং-তে তৃতীয় মেয়াদে জয়ী করেন। তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে শক্ত অবস্থান ডিপিপির। খবর এনডিটিভির
দলটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী লাই চিং-তেকে প্রত্যাখ্যানের জন্য তাইওয়ানের ভোটারদের চাপ দিয়ে আসছিল চীন। কিন্তু তাইওয়ানের ভোটাররা চীনা চাপ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে ডিপিপিকে তৃতীয় দফায় জয়ী করলেন।
তাইওয়ানের নির্বাচনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা সমর্থন করি না...।’
তাইওয়ানে ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে ওয়াশিংটন সতর্ক করে বলেছিল, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ যেকোনো দেশের জন্য অগ্রহণযোগ্য হবে।
তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চীন। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন ও সার্বভৌম মনে করে।
তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও তাইওয়ানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র।
লাই চিং-তে জয়ী হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র চায়, মতবিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান। চায় জবরদস্তি ও চাপমুক্ত পরিবেশ।
ব্লিঙ্কেন আরও বলেছেন, এক চীন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দীর্ঘদিনের অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে লাইসহ তাইওয়ানের সব দলের নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র উন্মুখ।