তাইওয়ান নিয়ে কাটছে না সংকট, মিটছে না ঘটনার ঘনঘটা, কমছে না উত্তেজনাও। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করেছিল তাইওয়ান। চিনের আপত্তি উড়িয়ে দিয়েই। বেরলো সেই নির্বাচনের ফলাফল। ভোটে জিতেছেন ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির নেতা উইলিয়াম লাই চিং-তে। এবার তিনিই প্রেসিডেন্ট। গোটা বিশ্ব তাইওয়ানের দিকে তাকিয়ে।
চিনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে এই ভোট ও লাই চিং-তে-র তাইওয়ানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়া। কনজারভেটিভ কুয়োমিনটাং (কেএমটি)-র হও ইউ-ই এবং তাইওয়ান পিপলস পার্টি (টিপিপি)-এর কো য়েন-জে'কে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হলেন চিং-তে।
তাইওয়ানকে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে আসছে চিন। শুধু তাই নয়, তাইওয়ানকে নিজেদের শাসনে আনার সব রকম চেষ্টাও তাা চালিয়েছে। এর উপর গত বছর প্রাক্তন মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরই আরও রেগে যায় চিন। তাইওয়ান ঘিরে মোতায়েন করে যুদ্ধজাহাজ এবং যুদ্ধবিমান। তবে আমেরিকার প্রচ্ছন্ন মদতে তাইওয়ান নিজের মতো চলার শক্তি পেয়েছে বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। যদিও, এই ভোটেও চিন তাদের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
চিনের টানা অপচেষ্টার বিরুদ্ধে তাইওয়ানবাসী যে রুখে দাঁড়িয়েছে সেকথা উঠে এসেছে নতুন প্রেসিডেন্টের কথায়। তবে চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বের বার্তাও দিয়েছেন তিনি। তাইওয়ান যে চিনের সঙ্গে শত্রুতা বাড়াতে চায় না, বরং তাদের বন্ধু হতে চায়, সেকথা ব্যক্ত করে তারা।
কঠিন পরিস্থিতি ও উত্তেজনার মধ্যে জিতে উঠে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে বলেন-- 'গণতন্ত্রের নতুন অধ্যায় লেখার জন্য তাইওয়ানবাসীকে ধন্যবাদ। আমরা আন্তর্জাতিক মহলকে বলছি, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে।'