চিন সফর সেরে দেশে ফিরেই ফের সুর চড়ালেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। বর্তমানে ভারত এবং মলদ্বীপের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দু দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। এরই মধ্যে ভারত এবং মলদ্বীপের মধ্যে তিক্ততা যে এখনও কমেনি তা এদিন ফের আন্দাজ করা গেল, মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের নয়া বয়ানে।
চিন সফর সেরে মলদ্বীপে ফিরেই মহম্মদ মুইজ্জু বলেন, ‘আমরা ছোট হতে পারি কিন্তু এটা তাদের আমাদের ধমক দেওয়ার লাইসেন্স দেয় না।’ চিনে পাঁচ দিনের সফর শেষ করে মলদ্বীপের রাজধানী মালেতে ফিরেছেন তিনি। দেশে ফিরে শনিবার মালেতে কড়া ভাষায় বিবৃতি দেন মইজ্জু।
চিনে পাঁচ দিনের সফর শেষ করে দেশে ফিরে শনিবার মালেতে গণমাধ্যমের কাছে তার কড়া ভাষায় বক্তব্যে মুইজু বলেন। তিনি বলেন, “ভারত মহাসাগর কোনও নির্দিষ্ট দেশের অংশ নয়। যদিও আমাদের এই সাগরে ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে, আমাদের রয়েছে ৯,০০,০০০ বর্গকিলোমিটারের বিশাল একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল। আমরা কারোর এলাকার মধ্যে নেই। আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ।”
চিনের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক নিয়ে মইজ্জু বলেন, মলদ্বীপের কোনও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে চিন তার প্রভাব বিস্তার করবে না। কোভিডের আগে চিন ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার। আমার অনুরোধ হল আমরা চিনকে এই অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করার প্রচেষ্টা জোরদার করব। সম্প্রতি মলদ্বীপ বয়কট ট্রেন্ডের জেরে প্রচুর ভারতীয় মলদ্বীপে যাচ্ছেন না কিংবা বুকিং বাতিল করেছেন। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় চিনা সরকারের কাছে মলদ্বীপে পর্যটক বেশি পাঠানোর জন্য আবেদন করেছেন মইজ্জু।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপের ছবিকে ঘিরে অবমানকর মন্তব্য করেছিলেন মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী। তার জেরে শোরগোল পড়ে যায়। কড়া ভাষায় বিবৃতি দেয় ভারত। শেষ পর্যন্ত ওই তিন মন্ত্রীকে সরিয়ে দেয় মলদ্বীপ সরকার। কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। সোশ্যাল মিডিয়া মলদ্বীপকে বয়কট করার আহবান দেওয়া হয়েছে। তার বদলে লাক্ষাদ্বীপকে বেছে নিতে বলা হচ্ছে। এই অবস্থায় দেশে ফিরে বকলমে ভারত বিরোধীতা অবস্থানই ধরে রাখলেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। প্রসঙ্গত, মলদ্বীপের মহম্মদ মুইজ্জু একসময়ে ইন্ডিয়া আউট কর্মসূচি চালিয়েছিলেন।