খুব অল্প বয়সে শোবিজের দুনিয়ায় কেরিয়ার গড়েছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। শুধু কাই নয়, বলা চলে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিলেন তিনি বিনোদনের দুনিয়ার টানে। আর মেয়ের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি অভিনেত্রীর বাবা। আসলে তিনি বরাবরই চেয়েছিলেন, কঙ্গনা আগে লেখাপড়া শেষ করুক। উচ্চশিক্ষার জন্য মেয়েকে চণ্ডিগড়ে পাঠানোরও ইচ্ছে ছিল তাঁর।
মনোজ মুনতাসিরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনাকে বলতে শোনা যায়, ছেলেবেলা থেকেই বাবার কাছ থেকে উৎসাহ পেয়েছিলেন স্বপ্ন দেখার। কিন্তু সেই স্বপ্নই যখন এত ‘বড় হয়ে যায়’, মেনে নিতে পারেননি তিনি।
একটা বয়সের পর যখন কঙ্গনা বাড়িতে জানিয়েছিলেন পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার বদলে তিনি একটু আলাদাভাবে গড়তে যান কেরিয়ার। যেতে চান থিয়েটারের মতো ভিন্ন কিছু পেশায়। আর মেয়ের এই সিদ্ধান্ত কঙ্গনার বাবার কাছে নিসন্দেহে ছিল বড় ধাক্কা। শুধু তাই নয়, আশেপাশের মানুষ ও সমাজের কাছ থেকে কী প্রতিক্রিয়া আসতে পারে, তা নিয়েও পেয়েছিলেন ভয়।
কঙ্গনা জানান, তাঁর সিনেমার জগতে আসার সিদ্ধান্তে তাঁর বাবা তাঁকে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন এরপর থেকে তিনি আর নেবেন না মেয়ের কোনও দায়িত্ব। অভিভাবক হিসেবে কোনও কাজই করবেন না। যদিও অভিনেত্রীর বিশ্বাস তাঁর বাবার নেওয়া সেই পদক্ষেপের কারণেই তিনি আজকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছেন। আত্মবিশ্বাস এসেছে তাঁর মধ্যে।
কঙ্গনা এই সাক্ষাৎকারেই জানান, আর পাঁচটা রাজপুত পরিবারের পুরুষদের মতো, তাঁর বাবাও রেগে গিয়ে বলে উঠেছিলেন, ‘আমার রাইফেল নিয়ে আসো, ওকে গুলি করে মেরেই ফেলব’।
এরপর সমাজের চিরাচরিত পুরুষতান্ত্রিক প্রকৃতি যে তাঁর পরিবারেও বর্তমান তা স্বীকার করে নেন অভিনেত্রী। ব্যাখ্যা করেন যে, তার পরিবারের সদস্যরা সুশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও, ঐতিহ্যগত বিশ্বাস পোষণ করে। এই বিশ্বাস অনুসারে, মহিলাদের নির্দিষ্ট সীমানা বা 'লক্ষ্মণ রেখা' অতিক্রম করা উচিত নয় এবং সেই লাইনটি অতিক্রম করা গুরুতর পরিণতির সম্মুখীন হতে পারে, যা রাইফেল রেফারেন্স দ্বারা প্রতীকী।
প্রথমদিকেও মেয়ের সাফল্য যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না অভিনেত্রীর বাবার। তবে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর কঙ্গনাকে নিয়ে গর্ববোধ করেছিলেন। বর্তমানে মেয়ের সাফল্যে তিনি গর্বিত।
কাজের সূত্রে, মুক্তির অপেক্ষায় এমারজেন্সি সিনেমাটি। যেখানে তিনি অভিনয় করেছেন ইন্দিরা গান্ধির চরিত্রে। এই ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সামলেছেন পরিচালনা ও প্রযোজনাও।