এখনও পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ রয়েছে যেগুলো মানুষের জন্য খুবই নিরাপদ। এই দেশগুলিতে গিয়ে পর্যটকরা কখনই অনুভব করবেন না যে তাঁদের জীবনের কোনও ভয় রয়েছে। বরং এখানকার অধিবাসীরা তাঁদের পরিবার নিয়ে সুখ এবং শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন। আমরা বলছি আইসল্যান্ডের কথা, এটি একটি নর্ডিক দেশ এবং ইউরোপের একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।
আজ আমরা দেশ এবং বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কিত এমন কিছু তথ্য নিয়ে এসেছি যা শুনলে অনেকেই অবাক হবেন। আজ আমরা আইসল্যান্ড সম্পর্কে কথা বলব। আসলে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কোরাতে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করেছিলেন যে, বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা কোনটি যেখানে অপরাধের মাত্রা সবচেয়ে কম। এই নিয়ে অনেকেই নানা উত্তর দিয়েছেন। তবে বেশিরভাগ উত্তরদাতাই আইসল্যান্ডের নাম নিয়েছেন।
এই দেশটি সবচেয়ে নিরাপদ
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ এবং বিজনেস ইনসাইডার ওয়েবসাইট অনুসারে, আইসল্যান্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ্লোবাল পিস ইনডেক্সও এই দেশটিকে এক নম্বর নিরাপদ দেশের মর্যাদা দিয়েছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, এই দেশের ১১ শতাংশ এলাকা বরফে ঢাকা। বিশ্বে উষ্ণতা বাড়তে থাকলে অচিরেই এই দেশটি ডুবে যাবে। অনেকেই হয়তো জেনে অবাক হবেন যে আইসল্যান্ডের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোনও টিউশন ফি নেয় না, তারা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন এবং রেজিস্ট্রেশন ফি নেয়। সেই সূত্রে বলা যায় এখানে বিনামূল্যে শিক্ষা উপলব্ধ। অনেকেই বুঝতেই পারছেন যে শিক্ষা যেখানে এমন, সেখানে এই দেশ গরিব হতে পারে না!
অপরাধের প্রসঙ্গে বলা যায়, এখানকার অধিবাসীরা এত শান্তিতে বসবাস করেন যে, এখানে পুলিশকেও বলপ্রয়োগ করতে হয় না। এই কারণেই পুলিশ সদস্যদের কাছেও বন্দুক নেই, তাঁরা কেবল পেপার স্প্রে এবং লাঠি ব্যবহারে বিশ্বাসী। এই দেশে সমকামী বিয়ের অনুমতি রয়েছে, রয়েছে নারী-পুরুষের সমান বেতন দেওয়ার বিধান। এই দেশের জনসংখ্যাও খুবই কম এবং মাথাপিছু আয় ৫৫,৮৯০ পিপিপি ডলার। এর থেকে অনুমান করা যায় এটি একটি ধনী দেশ।