শনিবার থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মণিপুরে। নতুন বছরের প্রথম দিনেও ফের একবার অশান্ত হয়ে উঠল উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটি। দুষ্কৃতীদের হামলায় প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ৪ জন। গুরুতর আহত আরও অনেকে। এই ঘটনার পিছনে কারা জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি।
জানা গেছে, রাজ্যের পাঁচ উপত্যকা জেলায় নতুন করে কার্ফু জারি করেছে সরকার। রাজ্যের থৌবাল জেলার বাসিন্দাদের দাবি, একদল লোক মুখে কাপড় ঢাকা দিয়ে এসে এলোপাথারি গুলি ছুড়তে শুরু করে। তারা কারা, তা বলতে পারছেন না ওই জেলার মানুষরা। হামলার ঘটনায় অনেকে জখম হয়েছেন। সকলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই চারজনের মৃত্যু হয়। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনার খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন দলের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন। সেইসঙ্গে রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এক ভিডিও বার্তায় এন বীরেন বলেন, 'নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনায় আমি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। অপরাধীদের ধরতে আমরা বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছি। আমি হাতজোড় করে লিলং (যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে) বাসিন্দাদের কাছে অপরাধীদের খুঁজে বের করতে সরকারকে সাহায্য করার জন্য আবেদন করছি।'
সরকারি সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ফের উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই কারণে থৌবাল, পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফল, বিষ্ণুপুর এবং কাকছিং জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে প্রথম পুলিশের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। মণিপুর-ইম্ফল সড়কে পুলিশের কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়। সেদিন রাতে মোরেকে পুলিশের ব্যারাকে দ্বিতীয় হামলার ঘটনা ঘটে। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সোমবার ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুর।