ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের সহায়তার অর্থ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একটি চক্র প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের কাছ থেকে চার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সরাসরি প্রতারক চক্রের সঙ্গে থেকে প্রতারণা করেছেন। আর সংঘবদ্ধ এ প্রতারক চক্র নেপথ্যে থেকে মদদ দিয়েছেন প্রশাসন ও বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। প্রশাসন ক্যাডার, পুলিশ ও ব্যাংক কর্মকর্তা মিলেমিশে প্রতারণা এবং উল্টো তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগিরা।
শনিবার দুপুরে জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগিরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নামোপাড়া মহল্লার নাইমুল হক অভিযোগ করে বলেন, ইউরোপিয় ইউনিয়নের দাতা সংস্থার প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার রেজাউল ইসলাম রেজা, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, রেজার বন্ধু কবির, বিউটি ও জেসি কয়েকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে এবং তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে যা মানুষকে সহায়তা দেয়া হবে। কিন্তু অর্থ ছাড় করতে কিছু খরচ হবে। তাই যারা ছাড়ের অর্থ দিকে তাদের মধ্যে টাকাগুলো ভাগ করে দেয়া হবে বলেও জানায় তারা।
এতে প্রভাবিত হয়ে একই এলাকার দুরুল, মাসুম, কামাল ও রুবেলসহ কয়েকজন ব্যক্তি প্রায় অন্য ৫০ জনের কাছ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা তুলে ওই প্রতারক চক্রের কাছে দিয়ে সর্বশান্ত হয়।
পরে এব্যাপারে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে মামলার প্রধান আসামী রেজাউল ইসলাম রেজার ভাই রাজশাহী মেট্রোপলিটান পুলিশের ডিসি মুনিরুল ইসলাম মামলাটি প্রভাবিত করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। তবে এ বিষয়ে জানতে তাকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুম, কামাল ও রুবেলসহ প্রতারণার শিকার অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহীর সময় / এম জি