রপ্তানি প্রস্তুতি তহবিল থেকে সহায়তা পেলো ৫৭০ উদ্যোক্তা


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 13-12-2023

রপ্তানি প্রস্তুতি তহবিল থেকে সহায়তা পেলো ৫৭০ উদ্যোক্তা

এক্সপোর্ট রেডিনেস ফান্ড (ইআরএফ) বা রপ্তানি প্রস্তুতি তহবিলের আওতায় সম্ভাবনাময় চার রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য,পাদুকা, প্লাস্টিক এবং হালকা প্রকৌশল শিল্পের ৫৭০ উদ্যোক্তাদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। মূলত উদ্যোক্তাদের বৈশ্বিক মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি এবং আন্তর্জাতিক সরবরাহ কাঠামোতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সহায়তা দেওয়া হয়।

রপ্তানি প্রস্তুতি তহবিলের আওতায় মোট বিনিয়োগ হয়েছে ৩৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের অনুদান সহায়তা ছিলো ১৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের, বাকী প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার উদ্যোক্তারা নিজেরা ব্যয় করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফরজে) প্রকল্পের আওতায় ইআরএফ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল আমারিতে এক্সপোর্ট রেডিনেস ফান্ড এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। ইসিফরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মনছুরুল আলমের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এ্যাপক্সে ফুটওয়্যার লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এবং বিশ্বব্যাংকের লিড কান্ট্রি ইকোনমিস্ট এবং প্রোগ্রাম লিডার সোলায়মান কলিবেলি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইআরএফ টিম লিডার ডেভ রুঙ্গানাইকালু।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট হোসনা ফেরদৌস সুমি, ইআরএফ কর্মসূচির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইয়াং কনসালটেন্টস এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

রপ্তানি সম্প্রসারণের জন্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য,পাদুকা, প্লাস্টিক এবং হালকা প্রকৌশল শিল্প-এই চার খাতের উদ্যোক্তাদের কমপ্লায়েন্ট হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এক্সপোর্ট রেডিনেস ফান্ড (ইআরএফ) গঠিত হয়।  বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ইআরএফ আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে এবং আজ এর বাস্তবায়ন কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।এই কর্মসূচির আওতায় চার রপ্তানি খাতের উদ্যোক্তাদের ম্যাচিং গ্র্যান্ট প্রদান করা হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ তাঁর বক্তব্যে বলেন,‘রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য বিদেশি বিনিয়োগ জরুরি। কিন্তু কাঙ্খিত মাত্রায় আমরা বিদেশি বিনিযোগ পাচ্ছি না। বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক সহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা আমাদেরকে সহায়তা করতে পারে।’

তিনি মনে করেন ইআরএফ তহবিল এর মত কর্মসূচি দেশের রপ্তানিকারকদের প্রতিযোগি সক্ষম করে গড়ে তোলার পাশাপাশি রপ্তানি বহুমূখীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।

এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, রপ্তানি প্রস্তুতি তহবিল অর্থনীতির বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে। তিনি এ ধরনের সহায়তার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের শিল্পোদ্যোক্তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার আহবান জানান।

উল্লেখ্য, ইআরএফ তহবিলে থেকে একটি কোম্পানিকে প্রথম পর্যায়ে কারখানা বা পণ্য এ্যাসেসমেন্টের জন্য সর্বোচ্চ ৫ হাজার ডলার এবং কারখানা বা পণ্যের গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য দ্বিতীয়ধাপে সর্বোচ্চ ৪০ হাজার ডলার দেয়া হয়। তৃতীয় ধাপে আপগ্রেডেশন এবং আধুনিকায়নের জন্য ২ লাখ ডলার এবং কোভিড সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের জন্য ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে।এই কর্মসূচির সুবিধাভোগি প্রতিষ্ঠানে গড়ে ১০ শতাংশ কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]