র্যাব-১২ এর উদ্যোগে চরমপন্থী সর্বহারা সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার : , আপডেট করা হয়েছে : 12-12-2023
র্যাব ফোর্সেস এর তত্তাবধানে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত আত্মসমর্পণকৃত ৩ (তিন) শতাধিক চরমপন্থী সর্বহারা সদস্যদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান হয়েছে।
এক সময় দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় চরমপন্থী সর্বহারা দলের সদস্যরা খুন, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে উক্ত জেলাসমূহে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। সময়ের পরিক্রমায় র্যাবের উপর্যুপরি অভিযানে চরমপন্থীদের সৃষ্ট ত্রাসের রাজত্ব ভেঙ্গে পড়ে। অধিকাংশ চরমপন্থী দলের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। অনেকে অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আগ্রহ প্রকাশ করে। র্যাব-১২ তাদেরকে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
প্রধানমন্ত্রীর “মাদার অফ হিউমিনিটি” খেতাব অর্জন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার সংরক্ষণে আমাদের প্রেরণা। বৃহত্তর জনস্বার্থে র্যাব-১২ এর উদ্যোগে চরমপন্থী সর্বহারাদের আত্মসমর্পণ এরই ধারাবাহিকতার অংশ মাত্র। প্রধানমন্ত্রীর “মাদার অফ হিউমিনিটি” খেতাবের আলোকিত ধারার অংশ হিসেবে গত ২১ মে ২০২৩ সিরাজগঞ্জে অবস্থিত র্যাব-১২ এর ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে ৩ (তিন) শতাধিক চরমপন্থী সর্বহারা সদস্য ২ (দুই) শতাধিক অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি এর নিকট আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থী সদস্য ও তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করার জন্য র্যাব-১২ ‘উদয়ের পথে’ নামক পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে হস্তশিল্প প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন বৃত্তিমূলক ও কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। সম্মানিত র্যাব ডিজি মহোদয়ের উপস্থাপন মতে আত্মসমর্পণকৃত চরমপন্থী সদস্যদের পুনর্বাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল” হতে ৩১৪ সদস্যকে ১ লক্ষ টাকা করে মোট ৩ কোটি ১৪ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন।
আত্মসমর্পণকৃত চরমপন্থী সর্বহারা সদস্যরা যাতে সহজেই ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় আসতে পারে সেই সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে র্যাব-১২ তার আওতাধীন সকল জেলার প্রায় ৩৮টি এনজিও এর সাথে মতবিনিময় সভা সম্পন্ন করেছে। সর্বহারা চরমপন্থী সদস্যদেরকে সমাজের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এনে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে দায়েরকৃত মামলা সমূহের মধ্যে খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ ব্যতিত অন্যান্য মামলাগুলো যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাহার করার যাবতীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে।