গর্ভাবস্থায় সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চললে মা ও শিশু উভয়ে সুস্থ থাকেন। গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস ও শেষের দিকে প্রসূতি মায়ের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা অনেক জরুরি। বিশেষ কোনো জটিলতা দেখা না দিলে গর্ভবতী নারীরা সাধারণভাবে জীবনযাপন করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় কিছু কাজ রয়েছে যা করা উচিত নয়।
এসব কাজ করলে গর্ভবতী নারী ও গর্ভস্থ সন্তানের ক্ষতি হতে পারে।
কাঁচা ও আধাসেদ্ধ খাবার খাবেন না: গর্ভবতী নারীর কাঁচা ও আধাসেদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত নয়। এসময় সামুদ্রিক খাবার, কাঁচা পনির এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ এসব খাবারে স্নেহ পদার্থ বিদ্যমান থাকে। গর্ভাবস্থায় স্নেহ জাতীয় খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
কফি খাবেন না: ক্যাফেইন গ্রহণ গর্ভাবস্থায় মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশেষ করে কফি গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়। কারণ এতে প্রচুর ক্যাফেইন থাকে। এছাড়া সোডা ওয়াটার, সফট ড্রিংক, গ্রিন-টিতেও ক্যাফেইন থাকে। গর্ভাবস্থায় এসব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উত্তম।
ক্ষতিকর ওষুধ খাবেন না: কিছু ওষুধ রয়েছে যা গর্ভাবস্থায় প্রসূতি মায়ের খাওয়া ঠিক নয়। চিকিত্সকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। ওষুধের কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো গর্ভবতী নারীর জন্য অনিরাপদ। যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিত্সকের সঙ্গে কথা বলা উচিত।
পেইন্টিং করবেন না: গর্ভাবস্থায় আরেকটি মারাত্মক ক্ষতিকর কাজ হলো পেইন্টিং। কারণ পেইন্টের মধ্যে অনেক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বাড়িতে গর্ভবতী নারী থাকলে সেখানে রং করা উচিত নয়।
জুতা নির্বাচনে সতর্ক হোন: জুতা নির্বাচনে গর্ভবতী নারীর সতর্ক হওয়া উচিত। এসময় আরামদায়ক ও নিরাপদ জুতা বেছে নেয়া উত্তম। ঝুঁকে পরতে হয় এমন জুতা না পরাই উত্তম।
ধূমপান ও মদ্যপানে বিরত হোন: গর্ভাবস্থায় ধূমপান ও মদ্যপান করলে সন্তানের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। ধূমপানের ফলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে গর্ভপাতও হয়ে যেতে পারে। এই দুই অভ্যাস কখনোই স্বাস্থ্যকর নয়।
কারও পরামর্শ কানে তুলবেন না: গর্ভাবস্থায় পরামর্শ দেয়ার মানুষের অভাব নেই। সবার সব কথা সরল মনে বিশ্বাস করে সে অনুযায়ী কাজ করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। নিজে যাতে স্বচ্ছন্দ তার বাইরে কিছু করতে যাওয়া উচিত নয়। গর্ভাবস্থায় কুসংস্কারের কারণে অনেক প্রথা প্রচলিত রয়েছে সমাজে। এসব কুপ্রথা অনুযায়ী কাজ করে সন্তানের ক্ষতি করবেন না। যেকোনো পরামর্শের জন্য বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।
রাজশাহীর সময়/এইচ