প্রেসক্লাব আমাদের সেকেন্ড হোম


বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি: , আপডেট করা হয়েছে : 08-12-2023

প্রেসক্লাব আমাদের সেকেন্ড হোম

হঠাৎ ঘুম ভাঙে। চোখের পাতা খোলে উৎকণ্ঠায়। ঘড়ির টিকটিক শব্দে ক'টা বাজে নজর পড়তেই লাফ দিয়ে ওঠে তণুমন। খেয়াল একটায়, আমার পাণে চেয়ে কেউ একজন অপেক্ষ্যমাণ। তড়িঘড়িতে প্রস্তুতি সেরে মায়ার টানে চিরচেনা গন্তব্যে পথে ছুটে চলা। 

গন্তব্যে পৌঁছিয়ে যেন হাফ ছেড়ে বাঁচা।  সাজিয়ে-গুছিয়ে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এক সুরভিত মঞ্চ তৈরি করতে পারলেই যেন প্রশান্তির কোমল ছোঁয়া ধরা দেয়। কম হয় বুকের ধুক বকুনি। শেষ হয় সকল উৎকণ্ঠা।

তারপর দেশ-বিদেশের সংবাদের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ হয়। একে একে ছোট্ট মঞ্চ ভারি করে সমবেত হতে থাকেন ক্লাব সদস্যরা। সিনিয়র সদস্যদের আগমনে জুনিয়রদের মনে সঞ্চার হয় অন্যমাত্রার প্রণোদনা। দাঁড়িয়ে  সম্মান জানিয়ে কুশল বিনিময় সে-তো কখনোই মিস হবার নয়। যাহোক, শুরু হয় গোছানো-আগোছালো হরেকরকমের গল্প, বিশ্লেষণ আর মতামতের ছড়াছড়ি।  

হঠাৎ স্মরণ হয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমন্ত্রণের কথা। দলবেঁধে ক্যামেরা, স্ট্যান্ড সাথে ম্যাক্রোফোন হাতে দ্রুতবেগে হেঁটে চলা।

কে কত আগে নিউজ শেষ করতে পারে প্রতিযোগিতাও কি কম হয়? তা বটেই নয়। আবার সম্মিলিত কাজ হয় চরম মজার। সিনিয়রেরা কাজ ভাগ করে মূল দায়িত্বটা নেন নিজের কাঁধেই। তুমি অমুক স্যারের বক্তব্য কোড করো আর তুমি অমুক স্যারেরটা। আর হ্যাঁ, তুমি উপস্থিতিদের সংখ্যা ও নামগুলো দ্রুত শেষ করো।

এভাবেই ১৯৮৬ সাল থেকে আজও সকাল থেকে সন্ধ্যা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রেসক্লাবের সদস্যদের। এটা তাঁদের নৈমিত্তিক ঘটনা। নানান ঘাতপ্রতিঘাতের শিকার হয়ে দীর্ঘ ৩৮ বছর 'আমরা নির্ভীক সত্য লিখবই' প্রত্যয়কে বুকে লালন করে এভাবেই টিকে আছে ক্লাবটি।

হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখের সাথি হয়ে ভাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ এ যেন এক সমৃদ্ধ পরিবার। পরিবারের সদস্যের সাথে ঝটিকা সফর, সাংস্কৃতিক আড্ডা, খেলাধুলা, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন, বিভিন্ন জাতীয় ও ধর্মীয় উৎসব পালন, আবার কখনো দেশভ্রমণের প্রত্যয়ে দেশের এমাথা ওমাথায় অবিরাম ছুটে চলা।

পৃথিবীতে সবচেয়ে ব্যস্ত প্রাণিদের কাতারে সাংবাদিক সম্প্রদায়কে না রাখতে সম্ভবত মহা অন্যায় হবে। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত ঠিক মতো খাওয়া-ঘুম ও প্রশ্রয় পায় না তাঁদের কাছে। কারণ সত্য-সুন্দর বস্তুনিষ্ঠ্য সংবাদ পরিবেশনের জন্য উৎসুক জনতা তাদের পাণে চাতক পাখির ন্যায় চেয়ে থাকে। সকাল হতেই এ ব্যস্ত সম্প্রদায়ের মেহনতের ফল সংবাদপত্র হাতে তাদেরকেই গালি দিতে বসে একশ্রেণির মানুষ। দেবেই বা না কেন? কিছু স্বার্থেন্বেষী যে সব জাতিতেই জন্ম নেয়। লোভ, মোহ, ক্ষোভ কিংবা

পক্ষপাতিত্ব করে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরার মতো কিছু মানুষও যে আছে। বন্ধ হোক এ ঘৃণিত পন্থা। সমাপ্তি হোক হলুদ সাংবাদিকতার।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]