বাড়িতে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রীয় রাজপুত করণী সেনার প্রধান সুখদেব সিং গোগামেদিকে। এই ঘটার এক ঘণ্টা পরেই ফেসবুক পোস্ট করে খুনের দায় নিয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই দল। করণী সেনা খুনের খবর সামনে আসতেই বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে রাজস্থানে। বুধবার দিনভর বনধের ডাক দিয়েছে করণী সেনা। এই বনধে সমর্থন জানিয়েছে অন্যান্য সম্প্রদায়ও।
রাষ্ট্রীয় রাজপুত করণী সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গোগোমেদির হত্যার তদন্তের দাবিতেই রাজস্থান জুড়ে আজ বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের অন্যান্য সম্প্রদায়গুলিও এই বনধে সমর্থন জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল খুনের খবর সামনে আসতেই জয়পুরে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায় করণী সেনার সদস্য ও সমর্থকরা। মেট্রো মাস হাসপাতালের বাইরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। মানসরোবর যাওয়ার পথ আটকেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। বহু দোকান জোর করে বন্ধ করিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ। ইতিমধ্যেই গোগামেদির বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে তিন-চারজন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী জোর করে ঘরে ঢুকেই গোগামেদির উপরে বন্দুক নিয়ে চড়াও হয় এবং একের পর এক গুলি চালায়। পাল্টা গুলি চালান করণী সেনার প্রধানও। ওই গুলিতে এক আততায়ীর মৃত্যু হয়। কার্ণি সেনা প্রধানের বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীও গুলিতে গুরুতর জখম হয়। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে ভর্তি। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক।
রাজপুত করনি সেনার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি অজিত সিং মামদোলি জানিয়েছেন, “৩-৪ জন লোক সুখদেব সিং গোগামেডির) বাড়িতে এসেছিল। নিরাপত্তারক্ষীদের তারা বলে যে তারা সুখদেব সিং গোগামেদির সাথে দেখা করতে চায়। গার্ড তাদের ভিতরে নিয়ে যায় এবং চা খাওয়ায়। এরপর তারা হঠাৎ তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।”
এর আগে, সুখদেব সিং গোগামেদিকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল কুখ্যাত গ্যংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সদস্য রোহিত নেহরা। সেই হুমকির বিষয়ে তিনি জয়পুর পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। সেই হুমকির সঙ্গে এদিনের ঘটনার কোনও যোগ আছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ভোট মিটতেই এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রাজ্যে যাতে হিংসা না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য সতর্ক রয়েছে পুলিশ।