দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের ৪৯৫ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং পাঁচশরও বেশি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আজ এ বিষয়ে আদেশ জারি হতে পারে। ওসিদের মধ্যে ৩৩ জন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)। এসব ইউএনও ও ওসি ৬ মাসের বেশি সময় ধরে বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দপ্তর এবং ডিএমপি সদর দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) কামরুল আহসান যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে সে অনুযায়ী বদলি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সবাইকে একযোগে বদলি করা হবে নাকি ধাপে ধাপে-সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সবই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবে করা হবে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, ৩০ নভেম্বর ইসি থেকে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, যেসব থানার ওসিদের বর্তমান কর্মস্থলে ৬ মাসের বেশি চাকরির মেয়াদ হয়েছে, তাদের তালিকা যেন ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনে পাঠানো হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদের অন্যত্র বদলির প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য শিগগির ইসিতে পাঠানো হবে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, ডিএমপিতে বর্তমানে ৫০ থানা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ডিএমপির ৩৩ থানার ওসিকে বদলি করা হবে। দু-এক দিনের মধ্যে আদেশ হতে পারে। বদলির ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কোনো প্রভাব পড়বে না।
রোববার এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভোটকে প্রভাবমুক্ত করতেই ওসিদের বদলির নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা। নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হয়ে গেলেই নিরাপত্তা বাহিনী থেকে শুরু করে সবকিছুই নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত থাকে। নির্বাচন কমিশন মনে করেছে, দেশের সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে যারা দীর্ঘদিন ধরে ওসি হিসাবে আছেন, তারা হয়তো কারও প্রতি ইনক্লাইন্ড (অনুগত) হতে পারেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওসিদের নিয়ে এ ধরনের বিবেচনা নির্বাচন কমিশনের, আমাদের কিছু নয়। এজন্যই তারা সারা দেশে ওসিদের ট্রান্সফার করেছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই সারা দেশে ওসিরা কাজ করছেন।