ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের কবলে পড়ে মৃত্যু হল ১১জন পর্বতারোহীর। এখনও খোঁজ মেলেনি ১২ জনের। নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ২৮৯১ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মেরাপিতে। জীবন্ত আগ্নেয়গিরি হিসাবে পরিচিত মাউন্ট মেরাপিতে রবিবার থেকেই শুরু হয়েছে অগ্ন্যুৎপাত। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে রয়েছে গোটা এলাকা। তার মধ্যেই জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ।
আগ্নেয়গিরির মধ্য থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তিনজন পর্বতারোহীকে। অগ্ন্যুৎপাতের জেরে আশেপাশের গ্রামগুলিতে ছাই ছড়িয়ে পড়ে। প্রাণহানির আশঙ্কায় আশেপাশের গ্রামবাসীদের সেখান থেকে সরানো হয়েছে। কয়েকদিন আগেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়ার বহু এলাকা। তারপরই রবিবার থেকে শুরু হয়েছে ভয়ানক অগ্ন্যুৎপাত। কিন্তু লাভা উদ্গীরণের জন্য বারবার কাজ থামিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
উদ্ধারকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, ৭৫ জন পর্বতারোহী মাউন্ট মেরাপিতে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে ১১ জনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে ৩ জনকে। তবে এখনও ১২ জনের খোঁজ মেলেনি। বাকি ৫৪ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত পর্বতারোহীদের অনেকেরই দেহের একাধিক অংশ পুড়ে গিয়েছে।
মাউন্ট মেরাপি আগ্নেয়গিরিটি ইন্দোনেশিয়া এবং জাভাতে ফায়ার মাউন্টেন বলেও পরিচিত। মধ্য জাভা এবং যোগিয়াকার্তা প্রদেশের সীমান্তে অবস্থিত এটি ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরি হিসাবে বিবেচিত হয়। ১৫৪৮ সাল থেকে সেখানে নিয়মিতভাবে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। অগ্ন্যুৎপাতের কারণে এখানে মাঝেমধ্যে ভূমিকম্প হয়ে থাকে। এর আগে ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর সুমেরু পর্বতে প্রবল অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছিল। তাতে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রায় ৫ হাজার বাড়ি। সেবার শতাধিক মানুষ আহত হয়েছিলেন।